বাবুল হক, মালদহ: কাউন্সিলর খুনে ধৃত মালদহের নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে বহিষ্কার করতে চলেছে তৃণমূল। জেলা তৃণমূল সূত্রে এমনই খবর। সূত্রের দাবি, জেলা নেতৃত্বের কাছে বহিষ্কারের চিঠি পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু তাঁদের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, মালদহের কাউন্সিলর বাবলা সরকার ওরফে দুলাল খুনে নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দিন ছয়েক আগে খুন হন মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল ওরফে বাবলা সরকার। তদন্তে নেমে আগেই ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার মালদহ টাউনের তৃণমূল সভাপতি তথা হিন্দি সেলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও তাঁর দুই ভাই ধীরেন্দ্রনাথ এবং অখিলেশকে তলব করে পুলিশ। ম্যারাথন জেরার পর বুধবার সকালে নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে গ্রেপ্তার করা। গ্রেপ্তারির পরই নরেন্দ্রনাথ দাবি করেন, তিনি নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এর নেপথ্যে বড় মাথা রয়েছে বলেই দাবি নরেন্দ্রনাথের। কিন্তু কাকে নিশানা করলেন ধৃত? তা নিয়ে ধোঁয়াশা। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই দল তাঁকে বহিষ্কার করতে চলেছে বলেই সূত্রের দাবি।
বিভিন্ন সূত্রের খবর, বাবলার সঙ্গে নরেন্দ্রনাথের দীর্ঘদিনের সমস্যা। বিভিন্ন বিষয়ে দুজনের মধ্যে রেষারেষি চলত। খুনের নেপথ্যেও এই রেষারেষি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার জানান, দুলালকে খুনে ৫০ লক্ষ টাকা সুপারি দেওয়া হয়। নরেন্দ্রনাথ ও স্বপন সুপারি দিয়েছিল। খুনের আগে বেশ কয়েকদিন রেইকি করে দুষ্কৃতীরা। তারপর খুন করা হয় কাউন্সিলরকে। তবে ৬ দিন কেটে গেলেও, কী কারণে খুন হলেন কাউন্সিলর তা স্পষ্ট নয়। এর মাঝেই নরেন্দ্রনাথকে বহিষ্কার করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.