সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের সামনে নন্দীগ্রামে শহিদ স্মরণের সভামঞ্চে বিশৃঙ্খলা। বিজেপি থেকে আসা নেতারা কেন মঞ্চে থাকবেন, সেই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ। ওই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। হাতাহাতিও হয় একপ্রস্থ। কুণাল ঘোষ আসরে নামেন। ইচ্ছাকৃতভাবে তৃণমূলের সভা বানচালের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই দাবি তাঁর। পালটা বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল নেতা। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানেরও আশ্বাস দেন তিনি। তারপরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
নন্দীগ্রাম (Nandigram) দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার একই জায়গায় একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির। এদিন সকালে গোকুলনগরে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে সভা ছিল তৃণমূলের। তাতে নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ছিলেন অখিল গিরিও। প্রথমে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করেন কুণাল।
তারপর মূল মঞ্চে শহিদ স্মরণে নীরবতা পালন করা হয়। নীরবতা পালনের পরই সুর কাটল অনুষ্ঠানের। কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বেশ কয়েকজন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দলীয় কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপি থেকে আসা নেতারা কেন মঞ্চে থাকবেন, সেই প্রশ্নও তোলেন বিক্ষোভকারীরা। তা নিয়ে রীতিমতো হইচই শুরু করেন তারা। মঞ্চে কোন নেতা থাকবেন, তা নিয়ে একপ্রস্থ হাতাহাতিও হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন খোদ কুণাল ঘোষ। ইচ্ছাকৃতভাবে বিজেপি তৃণমূলের সভা বানচালের চেষ্টা করছে বলেই দাবি তাঁর। পরবর্তীকালে আলোচনা করে সমস্যা সমাধান করা হবে বলে আশ্বাসও দেন কুণাল। তৃণমূলের সভা না হলে বিকেলে বিজেপির সভামঞ্চ উপড়ে ফেলে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আবারও শুরু হয় অনুষ্ঠান।
এদিকে, এদিন দুপুরে গোকুলনগরে পদযাত্রা করার কথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর। এরপর গোকুলনগরে শহিদ স্মরণ সভা করারও কথা রয়েছে তাঁর। তবে সভা শুরুর আগেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে। তাঁর উদ্দেশে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও দেওয়া হয়।
সব মিলিয়ে নন্দীগ্রাম দিবসকে কেন্দ্র করে যুযুধান শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষ।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.