দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে আগুন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুগলির দেবানন্দপুরে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে কে বা কারা দেবানন্দপুরে তৃণমূলের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হয়নি। বাঁশের কাঠামোর উপর তৈরি কাঁচা পার্টি অফিস দ্রুত ভষ্মীভূত হয়ে যায়। তৃণমূলের অভিযোগ, রাজনৈতিকভাবে তৃণমূলের মোকাবিলা করতে না পেরেই হিংসা ছড়াচ্ছে বিজেপি। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির পাল্টা দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছয়-সাতেক আগে স্থানীয় গ্রন্থাগারের কাছে রাস্তার ধারে তৃণমূলের এই কার্যালয়টি তৈরি হয়। তারপর থেকে এই অফিস থেকেই ওই অঞ্চলের দলের কাজকর্ম পরিচালনা করা হত। বিধানসভা, লোকসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই অঞ্চলে ৩৯ ও ৪০ নং বুথ অফিস হিসেবে কাজ করা হত। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোর রাতের দিকে কে বা কারা তৃণমূলের পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে চুঁচুড়া থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে। কিন্তু এদিন দুপুর পর্যন্ত এই ঘটনার সাথে যুক্ত কেউ গ্রেফতার হয় নি।
স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, বিজেপি পরিকল্পিতভাবে তাদের দলীয় কার্যালযে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব এই বিষয়ে বলেন, “বিজেপি NRC ও CAA নিয়ে সারা রাজ্য জুড়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে। রাজনৈতিকভাবে ওরা তৃণমূলকে মোকাবিলা করতে ভয় পাচ্ছে। তাই মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করার জন্য তৃণমূলের পার্টি অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে।” তবে এতে মানুষই বিজেপির পাশ থেকে সরে যাবে বলে দাবি দিলীপ যাদবের।
বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায় অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, “আমাদের পার্টির কোনও কর্মী এই ধরণের কাজ করে না। তাঁরা দলের অত্যন্ত সুশৃঙ্খল কর্মী।” তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের কারণেই এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন গৌতমবাবু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.