দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: বছরের প্রথম দিন তৃণমূলের (TMC) প্রতিষ্ঠা দিবসে দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল হুগলির ব্যান্ডেলে। রবিবার ভোরে ব্যান্ডেল বালিকাটা অঞ্চলে তিন দুষ্কৃতী তৃণমূল কার্যালয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, পার্টি অফিসের ভিতরে ভাঙচুর করে এক তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বিজেপির (BJP) দিকেই আঙুল তুলেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও বিজেপি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এনিয়ে দিনভর রাজনৈতিক চাপানউতোর ব্যান্ডেলে।
১ জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস। তাই প্রত্যেক বছরের মতো এবারও বর্ষশেষের দিন একটু বেশি রাতেই ব্যান্ডেল (Bandel) বালিকাটা অঞ্চলে তৃণমূলের কার্যালয় বন্ধ করা হয়। শনিবার রাতে কার্যালয়ের ভিতরেই ঘুমিয়ে ছিলেন এলাকারই তৃণমূল কর্মী রাজু সাউ। অভিযোগ, রবিবার ভোররাত সাড়ে তিনটের সময় তিন দুষ্কৃতী ওই কার্যালয়ে হামলা চালায়। দুষ্কৃতীরা দরজা ভেঙে কার্যালয়ের ভিতর ঢুকে তৃণমূল কর্মী রাজুকে বেধড়ক মারধর করে।
এরপর কার্যালয়ের ভিতরে থাকার সমস্ত আসবাব ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি ফ্লেক্স ও গুরুত্বপূর্ণ নথি ছিঁড়েছে দুষ্কৃতীরা। প্রায় আধ ঘন্টা ধরে তাণ্ডব চালানোর পর দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সৈকত দাসের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে। কার্যালয়ে এমন হামলার খবর শুনে রবিবার সকালে কার্যালয়ে ছুটে যান চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। তাঁর কথায়, ”পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিরোধীরা আমাদের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে। চাইলে ১৫ মিনিটের মধ্যে চুঁচুড়া শহরের সমস্ত বিরোধীদের কার্যালয় বন্ধ করে দিতে পারি। কিন্তু সেই নীতিতে বিশ্বাসী নই। পুলিশ আইন মেনে পুলিশের কাজ করবে।”
অন্যদিকে চুঁচুড়ার বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ তৃণমূলের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ”বিজেপি এই ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নয়। তৃণমূল কর্মীদের মধ্যেই দলের প্রতি আস্থা কমছে। আর তাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।” তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে চুঁচুড়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.