Advertisement
Advertisement

Breaking News

আমফানের ক্ষতিপূরণ

আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় ফের দুর্নীতি, নাম রয়েছে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার পরিবারের

আসল ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই বঞ্চিত।

TMC Panchayet Samity member's family in Amphan Affected peoples list
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:June 13, 2020 8:30 pm
  • Updated:June 13, 2020 8:30 pm  

মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: আমফান ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে হাওড়া-সহ পশ্চিমবঙ্গের ৭ জেলায়। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে সরকার দ্রুত মাঠে নামে। তাদের বাড়ি সারানোর জন্য নগদ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা পাঠানো হয়। কিন্তু অভিযোগ এই নামের তালিকায় প্রকৃত ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অনেক যোগ্য ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, পাঁচলা ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একই পরিবারের ছ’জনের নাম রয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায়। ওই পরিবারের বধূ আবার পাঁচলা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্যা। অথচ ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই প্রকৃত যাদের ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের নাম নেই। ফলে দূর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা।

তালিকায় রয়েছেন ওই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার স্বামী, শ্বাশুড়ি, বাবা, মা ও দেওরের নাম। এদের মধ্যে অনেকেরই আবার পাকা দোতলা বাড়ি রয়েছে। বিরোধীদের বক্তব্য ওই সদস্যার পরিবারের মোট সাত জনের নাম রয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায়। এর মধ্যে একজন মাত্র ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য। তবে ওই পঞ্চায়েতের প্রচুর লোক রয়েছে যাদের সত্যিই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমফান ঘূর্ণিঝড়ে কিন্তু তাদের নাম নেই। জানা গিয়েছে, ওই গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ৭০ জনের বেশি নাম গিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত হিসাবে। অভিযোগ, শুধু ওই পরিবারই নয় এমন বহু লোকের নাম তালিকাভুক্ত রয়েছে যাদের পাকা একতলা এমনকি দোতলা বাড়িও রয়েছে। আবার স্থানীয় ফরোয়ার্ড ব্লক নেতা ফরিদুদ্দিন মোল্লা ও রানা ঘোষ বলেন, শুধু সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতই নয়, সারা পাঁচলা ব্লক জুড়েই এই অবস্থা চলছে। আমরা চাই প্রশাসন পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করুক ও যারা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য নয় তাদের কাছ থেকে টাকা ফেরৎ নিয়ে যথাযথ লোককে ক্ষতিপূরণ দিক। পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক প্রশাসন। একই বক্তব্য বিজেপি নেতা অনুপম মল্লিকেরও। অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছে না প্রশাসন। পাঁচলা ব্লকের বিডিও এষা ঘোষ বলেন, ‘আমাদের টিম এলাকায় এলাকায় গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যে এমন উদাহরণও পাওয়া গিয়েছে। তাদের কাছ থেকে টাকা ফেরৎ নেওয়া হচ্ছে। পরে তা যথাযথ ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিজেপির প্রতিবাদ মিছিলে বাধা, পুলিশের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্র দত্তপুকুর]

ধামিসার বাসিন্দা তারাপদ কাঁড়ার। তাঁর বাড়ি মাটির ও টালির ছাউনি। তারাপদ পেশায় ভ্যান চালক। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার। পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৭ জন। ঝড়ের দিন প্রাণ বাঁচাতে প্রতিবেশী অজয় কাঁড়ারের বাড়িতে আশ্রয় নেন। আমফানের তাণ্ডবে বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোনওক্রমে মেরামত করে আছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় নাম নেই। সুশান্ত ঘোষও ধামিসার বাসিন্দা। পেশায় একজন চাষি। পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা চার জন। ঝড়ের দিন প্রাণ বাঁচাতে প্রতিবেশী সদানন্দ ঘোষ এর বাড়িতে আশ্রয় নেন। সরকারি ক্ষতিপূরণ পাননি। বাঁশের খুঁটি দিয়ে ঘর তৈরি করছেন তিনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement