বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: এলাকায় শাসকদলের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত তিনি। গত বছর ভোটের পর পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই স্রেফ কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকেই নয়, নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দিলেন নদিয়ার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় ধর। বিডিও-র মারফত মহকুমা শাসককে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। জল্পনা তুঙ্গে জেলার রাজনৈতিক মহলে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল সমর্থক হত্যায় অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী ‘খুন’, দেহ উদ্ধারে বাধা পুলিশকে]
গত বুধবার মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে নবদ্বীপের স্বরূপগঞ্জ খেয়াঘাট ও সংলগ্ন রাস্তায় এক ঘণ্টার প্রতীকী অবরোধ করেন স্থানীয় তাঁতশিল্পীরা। নবদ্বীপ শহরের তৃণমূল নেতারা গিয়ে অবরোধ তোলার চেষ্টা করলে, দুইপক্ষের মধ্যে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। শেষপর্যন্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তৃণমূলের অন্দরের খবর, সেদিন সন্ধ্যায় দলের বৈঠকে কয়েকজন নেতার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি দপ্তরের পদত্যাগী কর্মাধ্যক্ষ সঞ্জয় ধর। সেকারণে বৈঠকে তাঁকে অপমানিত হতে হয়। মাঝপথেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। এই ঘটনার জেরে বন ও ভূমি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ, এমনকী নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যপদ থেকেও সঞ্জয় ধর ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ কেন ইস্তফা দিলেন? তা অবশ্য মুখ কুলুপ এঁটেছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তবে দলের সঙ্গে মতবিরোধের বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির পদত্যাগী কর্মাধ্যক্ষ সঞ্জয় ধর। তাঁর সাফ কথা, ‘আমি একজন ব্যবসায়ী। মানুষের জন্য কিছু করব বলেই রাজনীতিতে এসেছিলাম। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে দেখলাম ব্যাপারটা তেমন নয়। চাইলেই মানুষের জন্য কাজ করা যায় না। দুই-একজনের ইচ্ছার উপর সবকিছু নির্ভরশীল। তাই পদত্যাগ করলাম।’ তবে ইস্তফাপত্রে অবশ্য শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার কথাই উল্লেখ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই দাপুটে নেতা।
[আরও পড়ুন: রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত পাড়ুই, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে বরখাস্ত এসআই]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.