কৃষ্ণকুমার দাস: স্ত্রী ও মেয়ে বাড়িতে ছিল না। সেসময় এসেছিলেন গৃহশিক্ষিকা। আর বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে গৃহশিক্ষিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠল এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। হাতে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার জন্য চাপ দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। তবে গৃহশিক্ষিকা অর্থের বিনিময়ে কোনও আপোস করতে রাজি হননি। তিনি বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের কল্যানপুরের ঘণ্টেশ্বর মোড়ে।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাক্তন উপপ্রধান সুরজিৎ পুরকায়েত ওরফে বাপ্পা নামের ওই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যর দুই শিশুকে বাড়িতে টিউশন পড়ান অভিযোগকারী শিক্ষিকা। বৃহস্পতিবার যখন পড়াতে যান তিনি, তখন সুরজিতের স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগে তাঁকে দোতলায় শোওয়ার ঘরে ডেকে নিয়ে সুরজিৎ শ্লীলতাহানি করেন, ধর্ষণের চেষ্টাও করা হয় বলে বারুইপুর থানায় অভিযোগ করেছেন গৃহশিক্ষিকা। তিনি আত্মসম্মান রক্ষার্থে রুখে দাঁড়ালে ২০০০ টাকা হাতে দিয়ে মুখ বন্ধ করতে বলেন অভিযোগ। কিন্তু টাকা সেখানেই ফেলে দিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের ঘটনা জানিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন শিক্ষিকা।
পরে সুরজিতের স্ত্রী বাড়ি এসে ঘটনা জেনে শিক্ষিকার কাছে ক্ষমা চেয়ে এ বিষয়ে মুখ না খোলার অনুরোধ জানান। কিন্তু রবিবার সন্ধেবেলা শিক্ষিকার খুড়তুতো দাদা ব্যাপারটা জানতে পারেন। তিনিও দীর্ঘদিনের পঞ্চায়েত সদস্য। তিনিই বোনকে সঙ্গে নিয়ে বারুইপুর থানায় গিয়ে সুরজিৎ পুরকায়েতের বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করেন। পুলিশ ৩৭৬ ও ৫১১ ধারায় মামলা শুরু করেছে।
কিন্তু সোমবার রাত পর্যন্ত অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়নি। উলটে অভিযোগ, অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য নিগৃহীতা গৃহশিক্ষিকার দিদিকে তাঁর কর্মস্থল পোস্ট অফিসে গিয়ে হুমকি দিয়ে এসেছেন। এত কিছু হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের দ্বারস্থ হয়েছে নিগৃহীতার পরিবার। বারুইপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস জানিয়েছেন, ”তদন্তে পঞ্চায়েত সদস্য সুরজিৎ দোষী প্রমাণিত হলে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। আইন আইনের পথে চলবে।” এখন সুবিচারের অপেক্ষায় গৃহশিক্ষিকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.