রাজা দাস, বালুরঘাট: আমফানের (Amphan) ত্রাণের পর এবার চারা রোপণ প্রকল্পেও লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, উপভোক্তাদের প্রাপ্য টাকা আত্মসাৎ করতে ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলার হরিরামপুর ব্লকের কাকিহার সংসদের এই ঘটনায় সরব উপভোক্তারা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক।
জানা গিয়েছে, মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীন কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইনে (ন্যাশনাল রুলাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট) চারা গাছ রোপণ করা হয় ওই এলাকায়। ভাল মাদুরকাঠি চাষ করার জন্য সেখানকার ৯ জন কৃষককে চিহ্নিত করা হয়। বলা হয়, তাঁদের এককালীন টাকা দেওয়া হবে এই প্রকল্পে। অর্থ মিলবে আশ্বাস পেয়ে ওই কৃষকেরা নিজেদের জমিতে মাদুর কাঠির চারা রোপণ করেছেন ৯ মাসে আগে। অভিযোগ, এখনও একটাকাও পাননি তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যরা ওই টাকা আত্মসাৎ করেছে।
আসরাফুল আলম নামে এক উপভোক্তা বলেন, “এই প্রকল্পে ২ লক্ষ ৭১ হাজার ৬০২ টাকা প্রতিটি উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে দেওয়ার কথা। মাদুর কাঠির চারা গাছ রোপণ করার পর জেলাশাসক-সহ অনান্য সরকারি আধিকারিক এবং জনপ্রতিনিধিরা দেখে গিয়েছিলেন ২০১৯ সালের ২৬ জানুয়ারি মাসে। তাঁরা আমাদের এলাকার ৯ জন উপভোক্তাকে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করেন। চারা গাছ রোপণের পাশাপাশি আমাদের জমিতে বোর্ডও লাগানো হয়েছে। কিন্ত তারপরেও আমাদের অ্যাকাউন্টে একটিও টাকা ঢোকেনি। খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি প্রধান গুলজার আলম এবং গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য লুৎফর রহমান আমাদের টাকা নিজেদের কাছের লোকেদের অ্যাকাউন্টে দিয়েছে। সেই টাকা তুলে নিজেরা আত্মসাৎ করেছে। তাঁদের কাছে গিয়েও লাভ হয়নি। শেষে আমরা বিডিও থেকে মহকুমা শাসক এবং জেলাশাসককে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। দুর্নীতিগ্রস্থদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি আমাদের।” ঘটনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মুখ খোলেননি অভিযুক্তরা। এনিয়ে অবশ্য কিছু বলতে চাননি অভিযুক্তরা। এপ্রসঙ্গে জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.