দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: আমফানের (Amphan) ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে দুর্নীতি করা হচ্ছে বলেই বারবার অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। সেই প্রমাণই মিলেছিল হুগলির (Hooghly) চণ্ডীতলার গরলগাছা পঞ্চায়েত প্রধান নরেন্দ্রনাথ সিংহের কার্যকলাপে। ক্ষতি না হলেও ক্ষতিপূরণের তালিকায় স্ত্রীর নামও তিনি নথিভুক্ত করেছিলেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখে পঞ্চায়েত প্রধানকে দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূলের রাজ্য কমিটি। তৃণমূল ভবনে বৈঠকের পর বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করা হয়।
আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে গরলগাছা পঞ্চায়েত প্রধান নরেন্দ্রনাথ সিংহের বিরুদ্ধে। আমফানে যে সমস্ত গরিব মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছিল তাঁদের বাড়ি তৈরির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। অভিযোগ, নিজের দোতলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও রীতিমতো অনৈতিকভাবে নিজের স্ত্রী মিনতি সিংহের নাম ক্ষতিপূরণের তালিকায় নথিভুক্ত করেন পঞ্চায়েত প্রধান। এরপরই দলের মধ্যে তীব্র অসন্তোষের সঞ্চার হয়। অভিযোগ ওই তালিকায় সে সমস্ত উপভোক্তার নাম নথিভুক্ত করা হয় তাঁদের অনেকেরই নামের সঙ্গে প্রধানের ফোন নম্বর দেওয়া ছিল। দলের পক্ষ থেকে ওই তালিকা-সহ একটি অভিযোগ যায় হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদবের কাছে। তিনি বিষয়টি রাজ্য কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেন।
এরপরই শুক্রবার রাজ্য কমিটি তৃণমূল ভবনে দিলীপ যাদবকে ডেকে পাঠিয়ে বিষয়টি জানতে চান। অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখে প্রধানকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই বিষয়ে প্রধান নরেন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা মেনে নেব।” দল চাইলে পদত্যাগ করতে পারেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে পঞ্চায়েতের নিয়ম অনুসারে কোনও প্রধানের কার্যকালের আড়াই বছর সময়সীমা না পার হওয়া পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা যায় না। এখন দেখার তৃণমূল প্রধান তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করেন কিনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.