অর্ণব দাস, বারাকপুর: ভোটের দিন থেকেই বিরোধীদের বিরুদ্ধে এলাকায় অশান্তি পাকানোর অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। আর সোমবার, জগদ্দলে সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে তৃণমূল কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো ও রাস্তা অবরোধের অভিযোগ উঠল। যে ঘটনাকে ঘিরে পানপুর-কেউটিয়া পঞ্চায়েতের বেল্লে শংকরপুর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের দাবি, তাঁদের কর্মীকে মারধর করেছে তৃণমল।
কাঁকিনাড়া রোডের বেল্লে শংকরপুর মোড়ের কাছে তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয় (TMC Party Office) রয়েছে। এদিন দুপুরে এই পার্টি অফিস সংলগ্ন কাঁকিনাড়া রোড অবরোধ করেন সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা। সিপিএমের অভিযোগ, দলের কর্মী টোটো চালক ডালিম মণ্ডল পঞ্চায়েত ভোটের দিন শাসকদলের ছাপ্পা ভোটের প্রতিবাদ করেছিলেন। যার জেরে এদিন সকালে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধের জেরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা শাসকদলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। এর জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।
খবর পেয়ে বাসুদেবপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, “ভোটের দিন থেকেই সিপিএম, আইএসএফ এবং বিজেপি একজোট হয়ে বিশৃঙ্খলা করছে। ওইদিন রাতে বিরোধীরা আমাদের কর্মীদের মারধর করেছিল। কিন্তু আমরা শান্তির পরিবেশ বজায় রেখেছি। এরপর এদিন টোটো চালককে মারধরের মিথ্যে অভিযোগ তুলে আমাদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করা-সহ রাস্তা অবরোধ করেছে ওরা। থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।”
সিপিএম নেত্রী গার্গী চট্টোপাধ্যায় অবশ্য পালটা বলে দেন, “আমাদের কর্মী ডালিম মণ্ডলকে মারধর করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে এদিন রাস্তা অবরোধ করা হয়েছিল। তবে আমাদের কোনও কর্মী তৃণমূল পার্টি অফিস ভাঙচুর করেনি। এই ধরনের রাজনীতি আমরা সমর্থন করি না। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা তৃণমূলের প্রতি ক্ষোভে পার্টি অফিসের একটি জানলার কাজ ভেঙে থাকতে পারে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.