ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের (Amit Mitra) কাছে সম্প্রতি জবাব তলব করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। পালটা জবাবে তাঁকে বাজেট বই পড়ে দেখার পরামর্শ দিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy)।
সম্প্রতি অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দেন রাজ্যপাল। তাতে ২০১৬ সাল থেকে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের যাবতীয় হিসাব, কত লগ্নি এসেছে, কত কর্মসংস্থান হয়েছে, বাণিজ্য সম্মেলন করতে কত খরচ হয়েছে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব চেয়েছিলেন তিনি। এরপর শনিবার সেই চিঠি টুইট করে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কটাক্ষ করেন। এ নিয়েই রাজ্যপালকে পালটা সৌগতবাবুর জবাব, “বক্তব্য টুইটারে জানানো রাজ্যপালের একটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা তিনি জানতে চান, সংবিধানের ১৬৭–র ৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চাইতে পারেন। কিন্তু উনি এমন একটা জিনিস জানতে চাইছেন, যেটা আগে থেকেই জানা আছে। প্রত্যেকবার যখন বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হয় তখন প্রকাশ্যেই ঘোষণা হয় কী কী নতুন বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে।” একইসঙ্গে বলেন, “এই সম্মেলন করতে কত খরচ হয়েছে, তা তো শিল্প দপ্তরের বাজেটেই থাকবে। রাজ্যপাল যদি জানতেন যে, কীভাবে বাজেট ডকুমেন্ট পড়তে হয়, তবে বুঝতে পারতেন কত খরচ হয়েছে। তাঁর এই প্রশ্ন অবান্তর, অবাস্তব এবং অপ্রয়োজনীয়।”
এদিকে, কেন্দ্রীয় পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) আবার এদিনই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের গড়ে দেওয়া জাতীয় শিক্ষানীতি বিষয়ক কমিটি নিয়ে। তাঁর কথায়, “আগেই সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে বিরোধিতা করা হবে। তার পর কমিটি গড়া হয়েছে। সেই কমিটি কী বলবে, সেটাও নিশ্চয়ই বলে দেওয়া হয়েছে।” তাঁকে ‘অজ্ঞ’ বলে কটাক্ষ করে বর্ষীয়ান সাংসদের জবাব, “বাবুল সুপ্রিয় শিক্ষা নিয়ে যত কম বলবেন তত ভাল। উনি গানটান নিয়ে বললে ভাল করতেন। রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে যে ছ’জনের কমিটি তৈরি করেছে, সেই বিজ্ঞপ্তি বাবুল সুপ্রিয় ভাল করে পড়েননি। তাতে কোথাও লেখা নেই যে, বিরোধিতা করতে হবে। কমিটিকে বলা আছে যে, নতুন শিক্ষানীতি নেওয়া হচ্ছে, তা পর্যালোচনা করে মতামত দিন ১৫ আগস্টের মধ্যে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.