সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছর লোকসভা নির্বাচনের সময় হয়েছে বরানগরের উপনির্বাচন। সেই ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্দায় দর্শকদের মন ছুঁয়েছেন আগেই। এবার রাজনীতির আঙিনায় তারকা বিধায়ককে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তবে অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়েই পালটা খোঁচা দিলেন ব্রাত্য বসু।
বরানগরে একটি অনুষ্ঠান ছিল। ওই অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে সৌগত রায় বলেন, “আমাদের তো সায়ন্তিকা আছেন। আগে তাপস ছিলেন। তিনি খুবই হম্বিতম্বি করতেন। সায়ন্তিকা কারও উপর হম্বিতম্বি করেন না। ভালোবেসে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলেন। সে কারণে উনি ব্রাত্যকে নিয়ে আসতে পেরেছেন। আজ এখানে আসতে আমি সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ইদের নমাজে যাচ্ছিলাম। লোকের বাড়িতে ইদের খাবার খাচ্ছিলাম। কিন্তু আমি দৌড়াতে দৌড়াতে এসেছি। তার কারণ আমাদের শ্রেষ্ঠ এমএলএ সায়ন্তিকা ডেকেছেন। আর আমাদের শ্রেষ্ঠ মন্ত্রী ব্রাত্যকে উনি ধরে এনেছেন।”
ওই মঞ্চেই উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, “অশক্ত শরীর, কিন্তু সৌগতদা কখনও অথর্ব নন। সবসময় চিরতরুণ। তিনি বললেন যে, আমার শ্রেষ্ঠ বিধায়ক সায়ন্তিকা। ঘটনাচক্রে আমিও বিধায়ক। ৬ বা ৭ মাসের মধ্যে এই যে শ্রেষ্ঠ বিধায়ক হিসাবে সায়ন্তিকাকে সৌগতদা বেছে নিতে পারছেন, এ তাঁর চিরতরুণ মনের একটা গভীর এবং অসীম ফলাফল। সৌগতদা দাবি করলেন যে, সায়ন্তিকার জন্য আমি এসেছি। আমাদের বিধানসভায় মোস্ট গ্ল্যামারাস এমএলএ… কোনও সন্দেহ নেই। উনি একজন অভিনেত্রী। সবাই আপনারা জানেন। কিন্তু, সৌগতদা বলার কারণেই আমার এখানে আসা। দু’জনকেই অনেক ধন্যবাদ।”
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দরাজ সার্টিফিকেট দেওয়া নিয়ে সৌগত ও ব্রাত্য দু’জনের মধ্যে যেন ‘ঠান্ডা লড়াই’ চলছে। যদিও দলের বর্ষীয়ান নেতাদের বাকযুদ্ধ নিয়ে কিছু বলতে নারাজ তারকা বিধায়ক। তিনি আবার পালটা সৌগতকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। সায়ন্তিকার কথায়, “আমাদের শ্রেষ্ঠ সাংসদ অধ্যাপক সৌগত রায়। উনি আমাদের প্রাণের মানুষ। খুবই ভালো। আমরা প্রত্যেকেই ওঁর ছাত্র। উনি আমাকে আশীর্বাদ, সাহায্য ও সমর্থন করেন। আমি কৃতজ্ঞ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে আমি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.