সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলের ভিতরেই যে ক্রমশ অশান্তি দলা পাকাচ্ছিল, তা কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু রবিবার সেই চাপা অশান্তিই যেন আবরণমুক্ত হল। দলের মধ্যে বিবাদ যে বেশ গাঢ় রূপ নিয়েছে, তা বৈঠকে উপস্থিত না হয়ে বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের সাংসদ তথা কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। অন্তত রাজনৈতিক মহলের মত সেটাই। রবিবার রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে জেলার সমস্ত বিধায়ক এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সদ্যনিযুক্ত কোর কমিটির চেয়ারম্যান তথা কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। জেলা পরিষদের সভাকক্ষে সেই বৈঠকে যোগ দেননি মহুয়া মৈত্র। আর তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর গুঞ্জন।
দলীয় সূত্রে খবর, কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই একাধিক বিষয়ে নানা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মহুয়া মৈত্র। যার ফলে দলের বিধায়ক এবং পুরনো নেতাদের সঙ্গে মনোমালিন্য তৈরি হয়েছে। দূরত্ব বেড়েছে। যদিও তা প্রকাশ্যে আসেনি। এরপর নতুন কমিটি গঠন করেন মহুয়া। সূত্রের খবর, যদিও কমিটি গঠনের আগে বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাস, গৌরীশংকর দত্ত কিংবা নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁয়ের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেননি তিনি। ওই কমিটি থেকে বাদ দিয়ে দেন পুরনো নেতাদের। এছাড়া একাধিক ব্লক সভাপতিদেরও পদ থেকে সরিয়ে দেন। নিজের অনুগামীদের সেই সব পদে বসান মহুয়া। এই সব বদল মেনে নেবেন না বলে বিধায়কেরা রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে দেন। যদিও বদলের কোনও দায় নেয়নি রাজ্য নেতৃত্ব।
এই পরিস্থিতিতে রবিবার রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে জেলার সমস্ত বিধায়ক এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নিয়ে জেলা পরিষদের সভাকক্ষে বৈঠক ডাকেন কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সদ্যনিযুক্ত কোর কমিটির চেয়ারম্যান তথা কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। সেই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন মহুয়া মৈত্র। রাজনৈতিক মহলের মতে, এভাবেই নাকি জেলা নেতৃত্বকে অগ্রাহ্য করেন বলেই বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। যদিও তা নিয়ে দল কিংবা সাংসদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.