দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: আচমকা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) কাছে আসা এক ফোনে স্থগিত হয়ে গেল হুগলি জেলা কমিটি ঘোষণা। কে ফোন করেছিলেন সাংসদকে? কেনই বা স্থগিত হল জেলা কমিটি ঘোষণা? তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর জল্পনা। অবশ্য রাজনৈতিক মহলের অনেকেরই দাবি, পুরো কমিটি ঘোষণা করলে সংঘাত তৈরি হতে পারে। তাই ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছে। তবে তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী কৃষি আইন ও দলিত সমাজের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ঘড়ির মোড়ে তৃণমূলের এক জনসভা ছিল। সেখানে বক্তব্য শেষে হুগলি (Hooghly) জেলা তৃণমূল কমিটি ঘোষণা করার কথা ছিল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সভা শেষে চুঁচুড়ায় জেলা তৃণমূলের পার্টি অফিসে জেলা কমিটিতে কারা কারা থাকবেন সেই নাম ঘোষণা করাও শুরু করে দিয়েছিলেন সাংসদ। গোঘাট থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজনের নাম ঘোষণা করে দিয়েছিলেন কল্যাণবাবু। কিন্ত হঠাৎই সাংসদের মোবাইলে একটি ফোন আসে। আর সেই ফোনেই ধৈর্যচ্যুতি ঘটে। তিনি রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, “আমি আর করব না। তোমরা যে যা ইচ্ছে করো।” এরপরই মাঝপথে নাম ঘোষণা স্থগিত রেখে উঠে যান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
হঠাৎই এক ফোনে গোটা জেলার কমিটি ঘোষণা স্থগিত হয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অন্দরমহলে নানা রকম প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, কলকাতা থেকে নির্দেশ আসার পরই আপাতত স্থগিত হয়ে গেছে জেলা কমিটি ঘোষণা। উল্লেখ্য, সম্প্রতি কলকাতায় হুগলি জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে জেলা কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা হয়। ব্লক টাউনগুলিতে কারা কারা দায়িত্বে থাকবেন তার একটা তালিকা তৈরি করে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু এই তালিকাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন ব্লক ও টাউনগুলিতে সংঘাত চলছে। আর তারই মাঝে বিধানসভাভিত্তিক হুগলিতে শুরু হয়ে যায় জনসভা। সেরকমই চুঁচুড়ার এক জনসভা শেষে জেলা কমিটি ঘোষণার সময় একটি ফোন আসে। নতুন কমিটি ঘোষণা স্থগিত হয়ে যায়। এ বিষয়ে হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব ও বিধায়ক প্রবীর ঘোষালকে প্রশ্ন করা হলে তাঁরা দু’জনেই কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.