সুমন করাতি, হুগলি: ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভার দিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নজিরবিহীন অশান্তির ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনার নেপথ্যে বাম-অতি বামেদের যোগসাজশই দেখছে তৃণমূল। এই ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
তিনি বলেন, “যাদবপুরের বাম, অতি বাম অতি শক্তিশালী ছেলেমেয়েদের আমার দেখা আছে। নিজের পাড়ায় কুত্তাও রাজা হয়। বাইরে বেরিয়ে এসো দেখে নেব।” এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ২০১০ সালে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী সুদর্শন রায়চৌধুরীকে ঘেরাওয়ের ঘটনা তুলে ধরেন কল্যাণ। জানান, “২০১০ সালে সাংসদ হয়েছি। দিল্লিতে রয়েছি। সুদর্শন রায়চৌধুরী ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। চুঁচুড়ায় অনুষ্ঠান ছিল। পাপ্পুরা ঘেরাও করে রেখেছিল। সুদর্শন রায়চৌধুরী আমাকে ফোন করেছিলেন। আমি এক ঝটকায় বলেছি আগে যাও, আগে শিক্ষামন্ত্রীকে ছাড়ো। তারপর অন্য কথা। আমরা এই কালচারে বিশ্বাস করি।”
সিপিএম, বিজেপিকে তোপ দাগেন কল্যাণ। বলেন, “সিপিএম-বিজেপি দুজনে মিলে নোংরামি শুরু করেছে। এসব আমরা সহ্য করব না। এসব সহ্য করতে আসিনি। সিপিএমের বিরুদ্ধে অনেক আন্দোলন করে এসেছি। মার খেয়ে দল করেছি। দল করে সিপিএমকে হঠিয়েছি। পশ্চিমবাংলায় এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে সিপিএম নির্যাতন করেনি। আর সেই অত্যাচার সবাই রুখেছি। আবার বলে যাই এটা রিপিট করলে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল রুখে দাঁড়াবে। আমি রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতিতে বিশ্বাসী নই। যারা বিশ্বাসী, তারা বিশ্বাসী।” শুধু কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ই নয়, মদন মিত্রও যাদবপুর কাণ্ডের সমালোচনা করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.