সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) তৃণমূলে ফেরার পরই প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, “কেউ কথা রাখেনি।” মঙ্গলবার গানের মাধ্যমে নিজের মনে জমে থাকা অভিমান প্রকাশ করলেন কল্যাণবাবু। ব্যাঙ্গের সুরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করে জানালেন, সমস্ত কুকথা প্রত্যাহার করতে চান তিনি।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে একাধিক তাবড় তাবড় তৃণমূল নেতা দল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারাও। দলত্যাগের পর স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের নিশানা করেছিলেন তৃণমূল নেতারা। দেওয়া হয়েছিল ‘গদ্দার’ তকমাও। সেই সময় নজিরবিহীনভাবে শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দলত্যাগীদের আক্রমণ করেছেন কল্যাণও। কিন্তু ভোটের ফল প্রকাশের পরই ছবি বদলেছে। অনেকেই বিজেপি ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সেই তালিকায় নাম ছিল রাজীবের। তবে বিষয়টা কোনওদিনই মেনে নিতে পারেননি শ্রীরামপুরের সাংসদ।
দীর্ঘ টালবাহানার পর রবিবার অবশেষে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন হয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যা কোনওভাবেই মন থেকে মানতে পারছেন না তৃণমূল সাংসদ। সেটা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। রবিবার কল্যাণ বলেছিলেন, “অভিষেক বলেছিলেন, দলের নেতাদের কারও মনে আঘাত করে বিশ্বাসঘাতকদের দলে নেওয়া হবে না। আমি দলের একজন সাংসদ। আমার খারাপ লাগছে এতে। কিন্তু দলে থাকতে হলে তো শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত মেনেই চলতে হবে।”
এরপর মঙ্গলবার ব্যঙ্গের ছলে প্রকাশ্যে দলকেই বিঁধলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। গানের মাধ্যমে নিশানা করলেন দলবদলুদের। শুভেন্দু অধিকারীকে ভাই সম্বোধন করে বললেন, “ভাই শুভেন্দু, অনেক কুকথা বলেছি। রাগ করিস না, পারলে ভুলে যাস! যেভাবে দলত্যাগীরা আসছে হয়তো তুই-ও ফিরে আসবি, আমার থেকেও নেতৃ্ত্বের বেশি কাছের হয়ে যাবি।” সাংসদের এই মন্তব্যেই স্পষ্ট যে, দলত্যাগীদের ঘরে ফেরানোকে একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না কল্যাণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.