Advertisement
Advertisement

Breaking News

Barasat TMC

অনুমতি ছাড়া সোশাল মিডিয়া পোস্ট নয়, সাংগঠনিক বৈঠকে কড়া কাকলি

সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলা নিয়েও সতর্ক করেছেন তৃণমূল সাংসদ।

TMC MP Kakoli Ghosh Dastidar allerts party members to maintain disciplines including posts in social media | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 26, 2023 9:38 pm
  • Updated:November 26, 2023 9:38 pm  

অর্ণব দাস, বারাসত: দলের শৃঙ্খলারক্ষা নিয়ে আরও কড়া বারাসত সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল (TMC)নেতৃত্ব। সংবাদমাধ্যমে দলীয় মুখপাত্ররাই মুখ খুলবেন। দলের অনুমতি ছাড়া যখন-তখন সোশাল মিডিয়ায় (Social Media)পোস্ট করা যাবে না। রবিবার বৈঠকে এমনই কড়া নির্দেশ দিলেন সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা বারাসতের তৃণমূল সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। একইসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, দলীয় কর্মসূচি করতে গেলেও অনুমতি লাগবে জেলার।

রবিবার ছিল বারাসত (Barasat) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সাংগঠনিক সভা। বারাসত পুরসভার বিদ্যাসাগর প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত এদিনের সভায় সভাপতি তথা ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kakoli Ghosh Dastidar) ছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, মন্ত্রী রথীন ঘোষ, সুজিত বসু, জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, তাপস চট্টোপাধ্যায়-সহ একাধিক পুরসভার চেয়ারম্যান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, ব্লক এবং টাউনের নেতারা। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমেই দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার কড়া বার্তা দেন বারাসতের সাংসদ তথা জেলা সভাপতি ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ”সংবাদমাধ্যম যদি প্রশ্ন করে, না বুঝেশুনে মুখ খুলবেন না। কিছু বলতে গেলে ভেবেচিন্তে বলতে হবে। আপনাদের মুখ থেকে ভুল কথা বেরিয়ে দলের ক্ষতি হয়ে যায়। সেটা যেন কখনও না হয়।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের আগেই CAA! বনগাঁয় এসে মতুয়াদের আশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর]

জেলায় দলের মুখপাত্র খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ এবং বারাসত পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায়। তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করে নেবেন। ব্লক বা টাউন কমিটি দলীয় কোন কর্মসূচি নিতে চাইলে জেলা কমিটির কাছে সাত দিন আগে লিখিত জানিয়ে অনুমতি নিতে হবে। জেলা কমিটি রাজ্য কমিটির অনুমতিক্রমে কর্মসূচি করার অনুমতি দেবে। দলীয় শৃঙ্খলা মানতে হবে। তবে, মুখপাত্র ছাড়াও বিধায়কদের এলাকায় যদি কোনও ঘটনা ঘটে, তাহলে বিধায়করা সংবাদ মাধ্যমে বলতে পারেন।

সোশাল মিডিয়া ব্যবহারেও সতর্কতা অবহলম্বনের কথা বলেন সাংসদ। তাঁর কথায়, ”আজকাল ভিডিও করে ফেসবুকে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটাও অনুমতি ছাড়া করা যাবে না। এতে ভালো করতে চাইলেও অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতি হচ্ছে, বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।”সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কাকলিদেবী বলেন, ”দলীয় নির্দেশানুসারে দুজন মুখপাত্র রয়েছেন। এদিন বলা হয়েছে দলের তরফে মন্তব্য তারাই করবেন এবং সংবাদ মাধ্যমের কিছু জানার হলে তাঁদের কাছ থেকেই জানবেন। সভাটি সাতদিন আগে হলেও একই কথা বলতাম।”

[আরও পড়ুন: গুজরাটের অধিনায়ক হিসেবে নাম ঘোষণার পরই চমক, মুম্বই যাচ্ছেন হার্দিক!]

সম্প্রতি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান রত্না বিশ্বাসের হাবড়ায় বসবাসকারী বাংলাদেশীদের ভোটার লিস্টে নাম তুলে দেওয়ার মন্তব্যকে ঘিরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এদিনের সভাতেও রত্না বিশ্বাসকে মঞ্চে নয়, দর্শকাসনে বসতে দেখা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে সাংসদ তথা সভাপতি বলেন, ”ওঁর আসতে দেরি হয়েছিল। তাই দর্শকাসনে বসেছেন। উনি যেটা বলতে চেয়েছিলেন সেটা ঘুরিয়ে বলেছিলেন। তাই বোঝার ভুল হয়েছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement