সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2021) দোরগোড়ায় রাজনৈতিক নেতৃত্বের জনসভা লেগেই রয়েছে। শাসক-বিরোধী সকলেই ব্যস্ত তাতে। আর এই জনসভার মঞ্চ থেকে চাঁচাছোলা ভাষায় বিরোধী পক্ষকে আক্রমণের ঝাঁঝ ক্রমশই বাড়ছে। রাজনীতির লড়াইয়ের জল গড়াল আদালতেও। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার বর্ধমান আদালতে ওই মামলা দায়ের করেছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) আইনজীবী অমিতকুমার নাগ জানিয়েছেন, একাধিক জনসভা থেকে তাঁর মক্কেলের নামে আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য এই মামলা করা হয়েছে। তৃণমূল ছাড়ার আগে অরাজনৈতিক সভায় একাধিকবার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বারবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। বেশিরভাগ সময় ‘ভাইপো’ বলে কটাক্ষও করেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু। আবার বহু ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রসঙ্গেও নানা কটাক্ষ করেছেন তিনি। অভিষেকের আইনজীবীর দাবি, তার জেরে সম্মানহানি হয়েছে তাঁর মক্কেলের।
এর আগেও শুভেন্দুকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন অভিষেক। সেইবার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছিলেন। ক্ষমা না চাইলে মামলা করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন সাংসদ। তবুও ক্ষমা চাননি বিজেপি নেতা। তারপর অভিষেককেও আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন শুভেন্দু। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে দিনকয়েক আগে সভা করেন অভিষেক। ওই সভামঞ্চ থেকে আর্থিক প্রতারণা মামলা নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের একটি চিঠি প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরেন। সেই চিঠি অনুযায়ী, সারদাকর্তাকে ব্ল্যাকমেল করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। এছাড়াও একাধিক সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের জন্য শুভেন্দুকে ‘তোলাবাজ’, ‘মীরজাফর’, ‘ঘুষখোর’ বলেও কটাক্ষ করেছেন অভিষেক। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, কোনও বিচারাধীন মামলা প্রসঙ্গে প্রকাশ্য সভা থেকে কোনও কথা বলার অধিকার নেই তৃণমূল সাংসদের। এছাড়াও তাঁর দাবি, অভিষেকের এহেন মন্তব্যে পরিচিত মহলে সম্মানহানি হচ্ছে। তার ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেবার আইনি নোটিস পাঠান শুভেন্দু। আর এবার শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলার পথে হাঁটলেন অভিষেক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.