দীপঙ্কর মণ্ডল: দেশজুড়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তৃতীয় ঢেউয়ে টালমাটাল রাজ্য। এর মাঝেই পাঁচ রাজ্যে ভোট। ২২ জানুয়ারি বাংলায় ৪টি পুরভোট রয়েছে। চিকিৎসক ও বিরোধীদের একাংশ চাইছে পুরভোট পিছিয়ে দেওয়া হোক। বিষয়টি নিয়ে আদালত পর্যন্ত জল গড়িয়েছে। এরই মাঝে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বললেন, “আমার ব্যক্তিগত মত, আগামী দু’মাস সব কর্মসূচি বন্ধ রাখা হোক। মেলা-ভোট পরেও করা যাবে। মানুষ বাঁচলে, আমরা বাঁচব।”
শনিবার নিজের সংসদীয় এলাকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে হাজির ছিলেন সরকারি আধিকারিকরা। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়। তার পরই এই এলাকার জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা দেন অভিষেক। সঙ্গে বলেন, “আমার ব্যক্তিগত মত, আগামী দু’মাস সব কর্মসূচি বন্ধ রাখা হোক।” এর পরই রাজ্যের পুরভোট নিয়ে প্রশ্ন করলে সাংসদ বলেন, “পুরভোটের ব্যাপারটা হাই কোর্টে বিচারাধীন। হাই কোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে। এ ব্যাপারে কিছু বলব না।” প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি পুরভোট আদৌও হবে কিনা সে প্রসঙ্গে সোমবার রায় দেবে কলকাতা হাই কোর্ট।
এদিকে এর মধ্যে পাঁচ রাজ্যে উত্তরপ্রদেশে, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, মণিপুর এবং গোয়ায় ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এ প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, “পাঁচ রাজ্যে ভোট আছে। কিন্তু পজিটিভিটি রেট বাড়ছে। মানুষ বাঁচলে, আমরা বাঁচব। রাজনৈতিক লড়াই তো থাকবেই।” একইসঙ্গে নিজের সংসদীয় এলাকায় আগামী দু’মাস সমস্ত ধরনের জমায়েত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেন অভিষেক।
পরিশেষে সাংসদের পরামর্শ, “করোনা যায়নি। বারবার রূপ বদল করছে। ভবিষ্যতেও করবে। তাই আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। সতর্ক থাকতে হবে। তবে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে, না হলে প্রশাসন কিছু করতে পারবে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.