Advertisement
Advertisement

Breaking News

উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়

দলীয় কাউন্সিলরদের হারাতে নির্দল প্রার্থীকে সমর্থনের হুমকি, বিতর্কে কুলটির তৃণমূল বিধায়ক

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই কী অনুপস্থিতি, উঠছে সেই প্রশ্ন।

TMC MLA Ujjal Chaterjee sparks row for attacking councillor
Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 29, 2020 9:58 pm
  • Updated:August 29, 2020 10:35 pm  

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: ফের বিতর্কিত মন্তব্য কুলটির বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের (Ujjal Chaterjee)। তাঁর কর্মীসভায় অনুপস্থিত থাকা তৃণমূল কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে হুমকি দিয়ে বলেন, “আগামী দিনে দল যেন ওই কাউন্সিলরদের আর টিকিট না দেয় তার ব্যবস্থা করব। যদি দলের প্রতীকে টিকিট পেয়েও যায়, নির্দলকে সমর্থন করে ওই প্রার্থীকে পরাজিত করব।” শনিবার কুলটির কর্মীসভায় উজ্জ্বলবাবুর বক্তব্যের পর বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বক্তব্যটির ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।

কুলটি ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মহেশ্বর মুখোপাধ্যায় জানা, শনিবারের ওই সভায় কুলটির ওয়ার্ড সভাপতি, কাউন্সিলর, নেতৃত্ব স্থানীয়, শাখা সংগঠনগুলির সভাপতিদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু কুলটির ২৭ জন তৃণমূল কাউন্সিলরের মধ্যে মাত্র ১১ জন উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত ছিলেন ১৬ জন। তিনি বলেন, “আমরা লক্ষ্য করছি যে দলীয় সভায় বিধায়ক উপস্থিতি থাকেন সেই সভায় ওই ১৬ জন কাউন্সিলরের একটা বড় অংশ উপস্থিত থাকেন না।” ওই কর্মীসভায় অনুপস্থিত ছিলেন এমন দুই কাউন্সিলর অভিজত আচার্য ও ইন্দ্রাণী আচার্যের দাবি, “কুলটি ব্লকের সাংগঠনিক সভায় আমাদের ডাকাই হয় না। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রতীক জোড়াফুল চিহ্নকে চিনি। মানুষও আমাদের ভোটে জিতিয়ে এনেছেন দলনেত্রী ও দলকে দেখে। কুলটির বুকে এমন কেউ রবিনহুড নেই যে আমাদের জেতা হারার নির্নায়ক ভূমিকা নিতে পারবেন।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ফের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৩ হাজার, ঊর্ধ্বমুখী সুস্থতার হার]

জেলা তৃণমূল সভাপতি জিতেন্দ্র কুমার তেওয়ারি বলেন, “আমি কিছু এখনও শুনিনি। তবে উজ্জ্বলবাবু দলের প্রবীণ বিধায়ক। প্রাজ্ঞ ব্যক্তি। দলবিরোধী কোনও মন্তব্য উনি সাধারণত করেন না। কোন প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেছেন তা জেনেই প্রতিক্রিয়া দিতে পারব।” তবে এই প্রথম নয়, বছর দেড়েক আগে উজ্জ্বলবাবুর কর্মীসভার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। যেখানে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “কুলটির কাউন্সিলরর দিনরাত আসানসোলের নেতাদের কাছে পড়ে থাকেন। কুলটির সাংগঠনিক কাজে আসেন না। ভোটের সময় আসানসোল নয় কুলটির সংগঠনের ছেলেরাই আপনাদের ভবিষ্যৎ নির্ণয় করবেন।” রাজনৈতিক মহলের মতে, কুলটির অনেক কাউন্সিলরেরই পুরনিগমে যাতায়াত বেশি। ফলে এই ঘটনায় আসানসোলের সঙ্গে কুলটির নেতৃত্বের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্বই ফের প্রকাশ্যে এল।

[আরও পড়ুন: ‘রাজ্যের উপাচার্যরা তৃণমূল নেতাদের জামাকাপড় কাচেন’, ফের বিতর্কিত মন্তব্য সায়ন্তনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement