রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যের পর সিবিআইয়ের জালে তৃতীয় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। নদিয়ার তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধেও তদন্ত করছে সিবিআই। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পরেও সিবিআই তদন্তকে স্বাগত জানালেন তাপস। নিজের দলের একাংশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।
নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে আত্মবিশ্বাসের সুর তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের গলায়। তিনি বলেন, “সিবিআইকে স্বাগত। সিবিআই আমার বাড়িতে আসুক। পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করুক। বাড়ির সমস্ত জায়গায় খোঁজ করুক। পুকুর ছেঁকে ফেলুক। মাটি খুঁড়ে ফেলুক। আমি সম্পূর্ণরূপে সিবিআইকে তদন্তের সহযোগিতা করব। আমি স্বচ্ছ। আমি পরিষ্কার। আমি কোনও দুর্নীতি করিনি। আমি চক্রান্তের শিকার।”
এদিন নিজের দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তাপস সাহা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পলাশিপাড়ার পরিবর্তে তেহট্টে দাঁড়ানো নিয়ে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। বলেন, “মানিক বহু টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছে। আমি সেটা পারিনি।” এরপর নিজের দলের একাংশের বিরুদ্ধেও সুর চড়ান তাপস। অভিযোগের সুরে তিনি বলেন, “এ পার্টিতে কে কার কথা শোনে। এবি আমার সঙ্গে কোনওদিন কথা বলেননি। তাঁর অফিসে গেলে চাকরবাকরের মতো তাড়িয়ে দেয়।” তবে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, “দিদি ব্যতিক্রম। তাঁকে আমি শ্রদ্ধা করি।” দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসাবেই পরিচয় দেন তাপস সাহা। সিবিআই স্ক্যানারে চলে আসার পর কেন আচমকা বিদ্রোহী হয়ে গেলেন তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে জোর জল্পনা।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.