সৈকত মাইতি, তমলুক: করোনার সঙ্গে লড়াই করে আর বাড়ি ফেরা হল না এগরার বিধায়ক সমরেশ দাসের (Samaresh Das)। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে জীবনযুদ্ধ শেষ হয় তাঁর। সোমবার ভোর চারটে পনেরো নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। বর্ষীয়ান রাজনীতিকের মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল।
বেশ কয়েকদিন আগে বিধায়ক সমরেশ দাসের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বয়সজনিত কারণে এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থাকায় তাঁকে প্রথমে পাঁশকুড়ার কোভিড হাসপাতালে ভরতি করা হয়। কিন্তু দ্রুত তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। পাঁশকুড়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা কলকাতায় স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন। সেই অনুযায়ী তাঁকে কলকাতায় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছিল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কো-মরবিডিটির কারণে করোনা আক্রান্ত বিধায়ক সমরেশ দাসের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছিল। আর সেটাই চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল চিকিৎসকদের কাছে। তারপর কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালেও স্থানান্তরিত করা হয় তৃণমূল বিধায়ককে। তবে আশঙ্কাই যেন সত্যি হল। সোমবার ভোর চারটে পনেরো নাগাদ সকলকে ছেড়ে অমৃতলোকের পথে পাড়ি দিলেন এগরার বিধায়ক। সমরেশবাবু এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বলাগেড়িয়া সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। এলাকায় সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতিও ছিল তাঁর। বিধায়কের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন পরিজন থেকে অনুগামী সকলেই।
এর আগে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি করোনায় কাবু হয়েছেন। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু প্রথম করোনা আক্রান্ত হন। হাসপাতালে চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে যান। পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ ও তাঁর ছেলের শরীরে থাবা বসিয়েছিল কোভিড-১৯। এছাড়া দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদের দুই বিধায়কের করোনা রিপোর্টও পজিটিভ। ফলতার বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ প্রাণ হারিয়েছেন করোনায়। এবার প্রাণ হারালেন সমরেশ দাসও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.