দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ঘুরতে যেতে মন চায় না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। শেষ বয়সে কাশী, বৃন্দাবন দর্শন করার ইচ্ছা নেই এমন হিন্দু বাঙালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আবার হজে গিয়ে হাজির হয়ে আসতে মন চায় না এমন ধর্মপ্রাণ মুসলিমও এ বঙ্গে পাওয়া ভার। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেই তো আর হল না টাকাও থাকতে হবে। টাকার অভাবে অনেকেই তীর্থযাত্রা করতে পারেন না। এমন কিছু মানুষের পাশে দাঁড়ালেন ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক পরেশ রাম দাস (Paresh Ram Das)।
কারও ইচ্ছে মধুরা, কাশী, বৃন্দাবনে যাওয়ার, কেউ যেতে হজ কিংবা আজমের শরিফে। কিন্তু সাধ থাকলেও সাধ্য নেই। পকেটে বড় টান। ধর্মপ্রাণ এই মানুষগুলির ইচ্ছে পূরণের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেন বিধায়ক পরেশ রাম দাস। নিজের বেতনের টাকা খরচ করে প্রত্যেকের তীর্থযাত্রার ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
ভোটে লড়াইয়ের সময়ই পরেশ রাম প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাঁর বিধানসভা এলাকায় কিছু দুস্থ মানুষের তীর্থযাত্রার ব্যবস্থা করবেন। সেই প্রতিশ্রুতি রেখেই নিজের বেতনের টাকা খরচ করে করলেন আর্থিক সাহায্য। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক বলেন, “আমি বিধায়ক হিসেবে যে টাকা বেতন পাই সেই টাকার কিছু অংশ গরীব মানুষকে দিয়ে বিভিন্ন তীর্থস্থান করানোর ব্যবস্থা করি। এটা আমার বিধায়ক কোটার টাকা থেকে নয় নিজের সরকারি বেতন থেকেই এই কাজ আমি করে থাকি। বিধানসভা এলাকায় যে সমস্ত সমাজসেবামূলক কাজ আমি করে থাকি তার মধ্যে এটি একটি অন্যতম।”
আপাতত ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা এলাকায় বাসিন্দাদের জন্যই এই ব্যবস্থা। ইচ্ছুক ব্যক্তি যেখানে ঘুরতে যাবেন সেখানকার টিকিটের ফটোকপি এনে বিধায়কের কাছে দিলেই মিলবে অর্থ। প্রতি বছর ১০-১২ জন ব্যক্তি এই সুবিধা পাবেন। পরেশ রাম দাস যতদিন বিধায়ক থাকবেন এই কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানান। বিধায়কের দেওয়া টাকায় ধর্মস্থান ঘোরার সুযোগ পেয়ে খুশি তীর্থযাত্রীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.