সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়াকফ (Waqf Protest) বিরোধিতায় মুর্শিদাবাদ উত্তাল (Murshidabad Violence)। আর এই অশান্তির নেপথ্য় রয়েছে বহিরাগত শক্তি! এমনই দাবি করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। তৃণমূলের দাবি, বাইরে থেকে লোক এনে বিজেপি বাংলার সাম্প্রদায়িকতা ছড়াতে চাইছে। তাতে সাহায্য করেছে বিএসএফের একাংশ যদিও বিজেপি এই অভিযোগ মানতে নারাজ। মুর্শিদাবাদের হিংসার নেপথ্যে অন্য বহিরাগত শক্তির উপস্থিতির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলেই গোয়েন্দা সূত্রে খবর।
জঙ্গিপুরের তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমানের দাবি, “যারা অশান্তি পাকাচ্ছে তারা সকলেই বাইরের। কিন্তু কোথা থেকে ঢুকছে জানি না।” একই মত ফরাক্কার তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলামেরও। অশান্তি চলাকালীন বিধায়কের বাড়িতে হামলা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে। লুটপাটও চলে। আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলছেন,”বাইরে থেকে লোকজন না ঢুকলে এই ধরনের কাণ্ড ঘটত না। বাইরে থেকে লোকজন এই এলাকায় ঢুকে তাণ্ডব করতে শুরু করেছে। ভিতরের লোকজন তো রয়েছেই। এতদিন এখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি।” শুধু তাই স্থানীয় তৃণমূল জনপ্রতিনিধিরা নন, দলীয় নেতৃত্বের তরফেও প্রায় একই অভিযোগ করা হয়েছে।
তৃণমূলের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে, যেখানে সুকান্ত মজুমদার-অর্জুন সিংকে অশান্তি ছড়ানোর উসকানি দিতে শোনা গিয়েছে। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাস্তায় গাড়ি ধরে-ধরে মারার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আর বারাকপুরের ‘দাপুটে’ নেতা অর্জুন সিং ঝাড়খণ্ড-উত্তরপ্রদেশ-বিহার থেকে লোক এনে মুর্শিদাবাদ-মালদহ ফাঁকা করে দেওয়ার হুমকি দিতে শোনা গিয়েছে। এরপরই প্রশ্ন উঠছে, মুর্শিদাবাদের নেপথ্যে কারা? তবে কি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে?
Hate-mongers on a rampage!
From Dibakar Gharami’s “arm yourselves” remark, to @DrSukantaBJP threatening street violence, and @ArjunsinghWB vowing to import thugs from neighbouring states, @BJP4India is making coordinated attempts to ignite communal fire in Bengal.
The people… pic.twitter.com/c2lYpoAe7R
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) April 13, 2025
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “বিএসএফের একাংশের সাহায্য নিয়ে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের ঢুকিয়ে অশান্তি ছড়িয়ে আবার তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকার লোকজন বলছে, অশান্তির মূল পাণ্ডাদের তারা চেনেন না। ফলে কোনও রাজনৈতিক দল কোনও কোনও এজেন্সির সাহায্য়ে অশান্তি ছড়াচ্ছে কি না তা দেখতে হবে।”
এদিকে বিএসএফ সূত্রে খবর,সীমান্তবর্তী জেলায় অশান্তিতে উসকানি দিচ্ছে বহিরাগতরা। এ বিষয়ে নাকি রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে বাংলাদেশি জিহাদি শক্তি আনসারুল্লা বাংলা টিম, বিচ্ছিন্নতাবাদী নিষিদ্ধ সংগঠন পিএফআই, সিমির স্লিপার সেল সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে গোয়েন্দা খবর সূত্রে খবর ছিল। তবে কি তারাই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে? তারাই স্থানীয় মানুষের মগজ ধোলাই করে অশান্তি ছড়াচ্ছে? কিন্তু শয়ে শয়ে মানুষকে রাস্তায় নেমে অশান্তি ছড়াতে দেখা গিয়েছে। তারা কি সকলেই বহিরাগত? প্রশ্ন অনেক, যার উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে দেড়শোর বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.