সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মুখ খুলে বিতর্কে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী (Narayan Goswami)। আদিবাসীদের সম্পর্কে করা তাঁর মন্তব্যে তোলপাড়। তীব্র নিন্দা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। FIR করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। যদিও নারায়ণ গোস্বামীর বক্তব্য, তাঁর মন্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয়দের ক্ষোভের আগুনে কার্যত জ্বলছে সন্দেশখালি। বিক্ষুদ্ধরা নিজেদের এলাকার বাসিন্দা ও নির্যাতিত বলে দাবি করলেও শাসকদলের দাবি অন্য। তাঁদের তরফে বলা হচ্ছে, এলাকাকে উত্তপ্ত করছে বহিরাগতরা। এই দাবির স্বপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়েই বেফাঁস তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। বুধবার একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি দাবি করেন, বিরোধীরাই পরিকল্পনামাফিক সন্দেশখালিতে অশান্তি করছে। মন্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “একটা তফশিলি বা আদিবাসী মহিলাকে দৈহিক গঠন বা দেহের রং দেখে চেনা যায়। মনে রাখবেন, কে ফর্সা, কে শ্যামবর্ণ এটা দেখে বোঝা যায়। কিন্তু ক্যামেরার সামনে যে সব মহিলারা এসেছেন তারা সব ধবধবে ফর্সা। তাহলে কি তারা আদিবাসী?।” যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁরা কেউ সিপিএম, কেউ বিজেপি বলে দাবি করেন তিনি।
আদিবাসীদের সম্পর্কে করা বিধায়কের এই মন্তব্যেই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “তৃণমূলের কাছে এটাই কাম্য। ওদের মন্ত্রী রাষ্ট্রপতির চেহারা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন।” শুভেন্দু এদিন তফশিলি জাতি ও উপজাতি কমিশনকে নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলার দাবি করেন। নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও করেছেন শুভেন্দু।
তবে বিতর্কের মাঝেও নিজের মন্তব্য কার্যত অনড় নারায়ণ গোস্বামী। তাঁর দাবি, তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। নারায়ণের দাবি, রাজ্যপাল সন্দেশখালিতে যাওয়ার পর যে মহিলা ওড়নায় মুখ ঢাকা দিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন, তিনিই বিজেপির বসিরহাট এসপি অফিস অভিযানে সুকান্ত মজুমদারের পিছনে ছিলেন। এটা বিজেপির চক্রান্ত। এবিষয়ে একাধিক তথ্য সন্দেশখালির জনপ্রতিনিধিরাই তাঁকে দিয়েছে বলে দাবি তাঁর। যদিও কোনও পরিপ্রেক্ষিতেই বিধায়কের আদিবাসী মন্তব্য মানা যায় না বলেই দাবি বিরোধীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.