রঞ্জন মহাপাত্র ও সুরজিৎ দেব: পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনসংযোগই প্রধান লক্ষ্য তৃণমূলের। স্থানীয়দের অভাব অভিযোগ শুনতে গ্রামে গ্রামে ‘দিদির দূত’। শনিবার পটাশপুরের বিভিন্ন প্রান্তে জনসংযোগ সারলেন মেদিনীপুরের তারকা বিধায়ক জুন মালিয়া। সোনারপুরের পোলঘাটে বাড়ি বাড়ি ঘুরলেন বিধায়ক লাভলি মৈত্র। শুনলেন এলাকাবাসীর অভাব অভিযোগের কথা।
শনিবার সকালে তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়া প্রথমে পটাশপুর ১ নম্বর ব্লকের গোকুলপুরের তুলসিচারা মন্দিরে যান। পুজো দেন সেখানে।
পায়রা উড়িয়ে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির সূচনা করেন জুন মালিয়া।
এরপর বিশ্বনাথপুর গার্লস হাইস্কুলে যান জুন। ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে কথা বলেন বিধায়ক। মিড ডে মিল থেকে পঠনপাঠনের কোনও সমস্যা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখেন জুন। গোকুলপুরে তাঁকে ঘিরে মৃদু বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
জুন যদিও স্থানীয়দের বিক্ষোভে মোটেও ক্ষুব্ধ নন। তিনি বলেন, “আমরা এখানে ক্ষোভ বিক্ষোভের কথাই শুনতে এসেছি। তাই সমস্যা শুনবই।” শতাব্দী রায়ের মধ্যাহ্নভোজ বিতর্ক নিয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হননি জুন। সুকৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় বুথ সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র কুইল্যার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন বিধায়ক। ঠিক ঘরের মেয়ের মতো উঠোনে বসে দুপুরের খাবার খান তিনি। মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, আলুভাজা, শাকের তরকারি, মুড়িঘণ্ট, চিংড়ির মালাইকারি, মাছের ঝোল। শেষ পাতে জুন খান চাটনি, পাঁপড়, দই ও মিষ্টি। ওই এলাকায় আরও একাধিক কর্মসূচি রয়েছে জুনের। ওই এলাকাতেই রাত্রিবাসও করার কথা রয়েছে তাঁর।
এদিকে, শনিবার সোনারপুরের পোলঘাটে ‘দিদির দূত’ লাভলি মৈত্র।
কখনও পায়ে হেঁটে আবার কখনও স্কুটিতে চড়ে জনসংযোগ সারেন তৃণমূল বিধায়ক। শুনলেন এলাকাবাসীর অভাব অভিযোগের কথা।
‘দিদির দূত’দের কোনওভাবে মেজাজ হারালে চলবে না বলেই মত সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্রের।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.