অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: আচমকা সিবিআই তল্লাশি নিয়ে ডোমকলে এখনও চলছে জোর চর্চা। বিধায়কের বাড়িতে টানা এগারো ঘণ্টা সিবিআই তল্লাশিকে সেভাবে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম। সিবিআই ডাকলে তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সিবিআই একযোগে বিধায়কের গোবিন্দপুরের বাড়ি, বাড়ি সংলগ্ন বিএড, ডিএড কলেজ ও বাড়ি থেকে কিছুটা দুরে পৃথক জায়গায় অবস্থিত আরও কয়েকটি কলেজে তল্লাশি চালায়। বৃহস্পতিবার সকাল ন’টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে এগারো ঘন্টা ম্যারাথন তল্লাশি চলে। বিধায়কের বাড়ি থেকে ২৮ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। যার মধ্যে জমি বিক্রির ২৪ লক্ষ ১২ হাজার টাকা তার শোওয়ার ঘরে একটি ব্যাগে রাখা ছিল। বাকি ৩ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা ও ১১২.৪৮ গ্রাম গয়না ছিল তাঁর স্ত্রীর আলমারিতে। সিজার লিষ্ট দিয়ে ওই টাকা ও গয়না সিবিআই নিয়ে গিয়েছে। এছাড়া কলেজের কিছু নথিপত্রও বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম জানান, “সিবিআই আধিকারিকেরা তদন্ত চলাকালীন বাড়িতে যথেষ্ট ভালো ব্যাবহার করেছেন। আমাদের তরফেও যথেষ্ট সহযোগিতা করা হয়েছে। আগামী দিনেও সহযোগিতা করা হবে।”
বিধায়কের দাবি, সিবিআই আধিকারিকেরা তাঁকে স্ত্রীকে জানান দিন সাতেকের মধ্যে বিধায়ককে তলব করা হতে পারে। বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম জানান, “ওই প্রতিষ্ঠানগুলি তিল তিল করে গড়া। সেখানে কোনও দুর্নীতি নেই। আর আমি নিয়োগ দুর্নীতিতে এক শতাংশও জড়িত নই। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে হয়েছে। সরকারী সুযোগ সুবিধা ও কিছু মানুষের সহযোগিতাও পেয়েছি। ওই একদিনের সিবিআই হানায় সব কিছু নষ্ট হতে পারে না।”
এদিকে, ওই তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে ২৮ লক্ষ টাকা ও গয়নাগাটি উদ্ধারের ঘটনায় শুক্রবার বহরমপুরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “বিধায়কের বাড়ির ওই টাকা হাতের ময়লামাত্র।” ডোমকলের বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই হানায় সিপিএমের ডোমকল জোনাল কমিটির সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রানা জানান, “জাফিকুল ইসলাম দুর্নীতি করেছেন নাকি করেননি, সেটা তদন্তকারীরা বুঝবে। কিন্তু এর আগেও ডোমকল থেকে অনেকে বিধায়কের দায়িত্ব সামলেছেন। কোনও কথা ওঠেনি। আজ বিধায়কের বাড়িতে দুর্নীতির প্রশ্নে সিবিআই আসছে, এটা ডোমকলবাসীর কাছে লজ্জার।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.