কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: একুশে জুলাই শহিদ সমাবেশের ঠিক আগের দিনও মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে নিয়ে অস্বস্তি যেন কাটছে না তৃণমূলের। ভোটের আগের থেকেই বেসুরো শোনাচ্ছিল হুমায়ুনকে (Humayun Kabir)। ভোটের পর আবার আরও খোলাখুলি দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে দিয়েছেন তিনি। হুমায়ুনের হুমকি, তাঁর সমর্থনে যে সব নির্দল জয়ী হয়েছেন, তাঁদেরকে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরিয়ে তাঁদের দিয়েই বোর্ড গঠন করাবেন তিনি। দরকার হলে কংগ্রেস এবং বিজেপিরও (BJP) সমর্থন নেবেন।
বুধবার তিনি সরাসরি বলেন, “দলের ব্লক সভাপতি থেকে জেলা সভাপতি, আমার সঙ্গে যা আচরণ করেছে, কেউ ছাড় পাবে না। তাঁরা বুঝতে পারবেন আমার কত ওজন। ভরতপুর ১ ও ভরতপুর দুই ব্লকে দল যেখানে যেখানে ভাল ফল করতে পারেনি সেখানে আমার দেওয়া নির্দলদের দিয়ে আর বিজেপি যদি আমাদের কাছে আসে, তাঁদের দিয়েই বোর্ড গঠন করব। ” শুধু ভরতপুর নয়, বেলডাঙায় নিজের পঞ্চায়েতেও নির্দল এবং কংগ্রেসের (Congress) সমর্থনে বোর্ড গঠনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ এই বিধায়ক।
পরপর হুমায়ুনের এই আক্রমণে স্বভাবতই বিরক্ত মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা সভানেত্রী সাওনী সিংহরায় বলছেন, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে আমাদের দলের প্রার্থীরা জিতেছেন। এরপরও যদি কেউ অন্য সুরে গান গায়, তার উত্তর আমি কী দেব? বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্ব নজরে রেখেছেন। তারাই এর জবাব দেবেন। বস্তুত হুমায়ুনের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, সেটা রাজ্য নেতৃত্বের উপর ছেড়ে দিলেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশ মতো নির্দলদের যে আর দলে নেওয়া হবে না, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন সাওনী।
মুর্শিদাবাদের রাজনীতির সঙ্গে যারা পরিচিত তাঁরা বলছেন, হুমায়ুনকে নিয়ে এই বিতর্কের জল এবার কলকাতা পর্যন্ত গড়াবে। একুশের সভায় যোগ দিতে রাজধানীতে হাজির হয়েছেন সাওনী। যাওয়ার কথা হুমায়ুনেরও। মনে করা হচ্ছে, রাজ্য নেতৃত্ব দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলেই একটা হেস্তনেস্ত করতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.