সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বজবজ ট্যাঙ্ক রোডে দুর্ঘটনায় নিহত কিশোরের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিতে গিয়ে হেনস্তার শিকার স্থানীয় বিধায়ক দুলাল দাস। অভিযোগ, একাধিক মহিলা কাউন্সিলর-সহ বিধায়ককে ধাক্কাধাক্কি করা হয়। বিধায়কের গাড়ির কাচও ভেঙে দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ।
গত বুধবার দুপুরে মহেশতলার বজবজ ট্রাঙ্ক রোডের পাশে রাস্তা পারাপারের জন্য দাঁড়িয়েছিল জিহান খান এবং আরিয়ান খান নামে দুই কিশোর। সেই সময় একটি ট্যাঙ্কার তাদের ধাক্কা মেরে চলে যায়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় এক কিশোরের। আরেকজনের দুটি হাত বাদ যায়। জখম কিশোরকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসার জন্য বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসার পর প্রাণ হারায় সে।
এই ঘটনার পর মহেশতলার পুরসভার বিরুদ্ধে রাস্তা সংস্কারের কোনও উদ্যোগ না নেওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভকারীদের দালাল বলে কটাক্ষ করেন স্থানীয় বিধায়ক দুলাল দাস। এর পর কয়েকজন কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে নিহত নাবালকের বাড়িতে যান বিধায়ক। আর্থিক সাহায্য তুলে দিতে গেলে তাঁকে ঘিরে ধরে চলে বিক্ষোভ। তাঁর গাড়ির কাচ ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। দুলাল দাসের দাবি, স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখায়নি। মহেশতলার তৃণমূল যুব সভাপতি শুভনাগ চৌধুরীর ইন্ধনে এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও এ প্রসঙ্গে যুব সভাপতির কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.