Advertisement
Advertisement

Breaking News

জয়নগর কাণ্ডে তদন্তে সিআইডি, গ্রেপ্তার চার

পেট্রল পাম্পের সিসিটিভি পরীক্ষা করবেন তদন্তকারীরা৷

TMC MLA Biswanath Das targeted in Jaynagar
Published by: Tanujit Das
  • Posted:December 14, 2018 9:02 am
  • Updated:December 14, 2018 5:56 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জয়নগর কাণ্ডে তদন্তে নামছে সিআইডি৷ পেট্রল পাম্পের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে জয়নগর কাণ্ডে তদন্তে শুরু করতে চলেছে তদন্তকারীরা৷ সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান,হামলার মূল টার্গেট ছিলেন জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসই৷ দুষ্কৃতীরা আগে থেকেই জানতেন যে বিধায়ক ওই সময়ে, ওই এলাকায় আসবেন এবং সেই মতোই আটঘাট বেঁধে হামলা চালানো হয়৷ দুষ্কৃতীরা বহিরাগত নাকি এলাকার, প্রথমে সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা৷ এই ঘটনায় ইতিমধ্যে চার সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ তাঁদের জেরা করে এই হামলার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা৷

[মামীকে খুনের অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে ভাগ্নে]

Advertisement

গুলি-বোমা নিয়ে জয়নগরের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের গাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বিধায়ক৷ গুলিতে নিহত হন তাঁর গাড়ির চালক সেলিম খান এবং তৃণমূলের জয়হিন্দ বাহিনীর জয়নগরের সভাপতি সারফুদ্দিন খান। বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরও এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়৷ তাঁকে মারার উদ্দেশ্যেই হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস৷ তিনি বলেন, “টার্গেট ছিলাম আমিই। তবে সে সময় গাড়িতে না থাকায় রক্ষা পেয়ে যাই৷ এর পিছনে নিশ্চয়ই বড় মাপের ষড়যন্ত্র রয়েছে। পুলিশ অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।” দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, “খুনের রাজনীতি কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। পুলিশকে বলা হয়েছে, দুষ্কৃতীদের রং না দেখে কড়া ব্যবস্থা নিতে।” এই ঘটনা শাসকের গোষ্ঠী কোন্দলের ফল বলে দাবি করেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী৷

[দুধের শিশুকে আক্রমণ কেন? চিতাবাঘের আচরণে চিন্তিত বনদপ্তর]

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সারাদিনের নানা কর্মসূচি শেষ করে সন্ধ্যা সওয়া সাতটা নাগাদ দুর্গানগর পেট্রল পাম্পের কাছে এসেছিলেন বিধায়ক। পাম্পে নেমে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করছিলেন তিনি। হঠাৎই খুব কাছ থেকে শুরু হয় গুলিবৃষ্টি। করা হয় বোমাবাজিও। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সারফুদ্দিন ও সেলিমের মাথা লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। গুলিতে ঝাঁজরা করে দেওয়া হয় দু’জনকেই। বোমা ছোঁড়া হয় বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের গাড়ি লক্ষ্য করে৷ অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি৷গুলি চালাতে চালাতে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা৷ ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ প্রাথমিক তদন্তের পর রাতে পুলিশ জানিয়েছিল যে, নিহত সারফুদ্দিনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। খুনের মামলাও রয়েছে। সেই কারণেই হামলা কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ তবে, শুক্রবার সকালে পুলিশ একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায় যে, বিধায়ককে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল থেকেই বেশ থমথমে রয়েছে এলাকা৷ আতঙ্ক গ্রাস করেছে সাধারণ মানুষকে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement