ধীমান রায়, কাটোয়া: বিজয়া সম্মিলনীতে মজার ছলে সাংসদকে মেরে ফেলার ছক! সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল বিধায়ক ও তৃণমূল নেতার গোপন কথা। যা নিয়ে শোরগোল পূ্র্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) আউশগ্রামে।
এদিন আউশগ্রামে তৃণমূলের তরফে সাংবাদিক সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সাংবাদিকদের মুখোমুখি বসেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক-সহ দলের এক ঝাঁক নেতা-নেত্রী। ছিল একাধিক সংবাদমাধ্যমের মাইক্রোফোন। এক বিধায়কের পাঞ্জাবির কলারে লাগানো হয়েছিল মাইক্রোফোন। সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার এবং আউশগ্রাম ২ ব্লক তৃণমূল নেতা আবদুল লালন ফিসফিস করে কথা বলছিলেন। কিন্তু তারা দুজনেই কার্যত ভুলে গিয়েছিলেন, তাদের নাকের ডগায় একঝাঁক মাইক্রোফোন! সেখানেই তাঁরা আলোচনা করেন সাংসদ অসিত মালকে নিয়ে। যা ভাইরাল হয়ে যায় সোশাল মিডিয়ায়।
জানা গিয়েছে, রবিবার অভেদানন্দ থান্ডার ও আবদুল লালনের একান্ত আলাপচারিতার বিষয় ছিল রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং অসিত মাল ভেদিয়ায় বিপক্ষ শিবিরের অনুষ্ঠানে যাবেন কি না। এই নিয়ে কথাবার্তার মধ্যেই অভেদানন্দ থান্দারকে বলতে শোনা যায়, “আমার মনে হয় রবিদা বা অসিতদা কেউ আসবেন না।” তাঁর কথায় সায় দেন আবদুল লালনও। তার পরই অভেদানন্দ থান্ডারকে অসিত মালের আসার প্রসঙ্গ নিয়ে হাসির ছলে বলতে শোনা যায়, “ওদের প্রোগ্রামে অসিতদাও আসবে না। যদি আসে তোমার বাড়িতে নিমন্ত্রণ করবে। তরকারিতে ঝাল দিয়ে মেরে দেব!”
প্রসঙ্গত, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অসিত মাল আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডারের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। তবে লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে মেরে দেওয়ার কথা কেন বললেন বিধায়ক? ঘনিষ্ঠ মহলের খবর, অসিত মাল একদম ঝাল খেতে পারেন না। তিনি আউশগ্রামে গিয়ে খাওয়াদাওয়া করলে ঝাল ছাড়াই রান্না করা হয় তার জন্য। তাই এই মজা। এ বিষয়ে আবদুল লালন বলেন, “নিজেদের মধ্যে ঠাট্টা ইয়ার্কিও যদি কেউ রাজনৈতিক হাতিয়ার করে এটা দুর্ভাগ্যজনক। তবে এর পর থেকে আমরা হালকা কথাবার্তা বলার বিষয়েও সতর্ক থাকব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.