Advertisement
Advertisement
Siddiqullah Chowdhury

মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লার উপস্থিতিতে অবরোধে থমকাল করোনা ভ্যাকসিনের গাড়ি, টুইটে খোঁচা কৈলাসের

এ প্রসঙ্গে কী বলছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী?

TMC minister Siddiqullah Chowdhury blocks road in West Bengal, car carrying corona vaccine stuck ।Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 13, 2021 6:15 pm
  • Updated:January 13, 2021 6:44 pm  

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: কৃষি আইনের (Farm Law) বিরোধিতায় গলসিতে ছিল জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের অবরোধ কর্মসূচি। ওই অবরোধের নেতৃত্বে ছিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তার জেরে জাতীয় সড়কে বেশ কিছুক্ষণ আটকে যায়  করোনা ভ্যাকসিনের কনভয়। এর জন্য শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মন্ত্রীর উপস্থিতিতে অবরোধ কর্মসূচিতে কেন আটকে গেল ভ্যাকসিন, সেই প্রশ্নই তুলছেন সকলে। টুইটে খোঁচা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র।

কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতায় সরব কৃষক থেকে রাজনীতিকদের অনেকেই। যদিও মঙ্গলবার তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তবে সেই সিদ্ধান্তের বেশ কয়েকদিন আগেই জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের তরফে জানানো হয়েছিল, ১৩ জানুয়ারি অর্থাৎ বুধবার পূর্ব বর্ধমানের গলসি থেকে পারাজের মধ্যবর্তী জায়গায় ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হবে। সেই অনুযায়ী এদিন জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। নেতৃত্ব দেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন, কোচবিহারে গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে ৮২টি পরিবার]

অবরোধের ফলে জাতীয় সড়কেই আটকে যায় করোনা ভ্যাকসিনের (Vaccine) কনভয়। জানা গিয়েছে, বর্ধমান ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসে ভ্যাকসিন নামানোর পর বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার দিকে কনভয় যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময় গলসির গলিগ্রামের কাছে কনভয় আটকে পড়ে। অবরোধের জেরে বেশ কিছুটা সময় সেখানেই আটকে পড়ে ভ্যাকসিনের গাড়ি। সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে গলসি থানায় খবর দেওয়া হয়। তড়িঘড়ি গলসি থানার পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ভ্যাকসিনের ভ্যানটিকে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে সরিয়ে গলিগ্রাম হয়ে বেশ কিছুটা রাস্তা ঘুরপথে নিয়ে যাওয়া যায়। ফারাজ মোড়ের কাছে ভ্যাকসিনের গাড়িটিকে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে তুলে দেওয়া হয়।

মন্ত্রীর কর্মসূচিতে ভ্যাকসিনের গাড়ি আটকে পড়ার ঘটনাকে ভাল চোখে দেখছেন না কেউই। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর (Siddiqullah Chowdhury) দাবি, “অ্যাম্বুল্যান্স, ছাত্রছাত্রী, রোগীর গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমরা মাইকে বারবার ঘোষণা করেছি। তা করাও হয়েছে। ভ্যাকসিনের গাড়িটি অনেক পিছনে আটকে ছিল। পুলিশ জানতে পেরেই অন্য রাস্তা দিয়ে সেটিকে পাঠিয়েছে।” এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayavargiya)। বহুমূল্য ভ্যাকসিন নষ্ট হয়ে গেলে তার দায় কে নিত, প্রশ্ন বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের।

[আরও পড়ুন: দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় রেশন ডিলারের হাতে প্রহৃত স্বামী, বাঁচাতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার বধূ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement