সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: প্রবল গরমে যখন নাজেহাল রাজ্যবাসী, তখন রাতের অন্ধকারে দুর্গাপুরে পানীয় জলের কল ভেঙে দিল দুষ্কৃতীরা। নেপথ্যে ভোট-রাজনীতি! ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার মানুষ। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রটি তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। জয়ের ব্যবধান অবশ্য বেশি নয়। আড়াই হাজারের মতো ভোটে জিতেছেন গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী এস এস আলুওয়ালিয়া। ভোটের ফলাফলে দেখা গিয়েছে, দুর্গাপুর পুরনিগমের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই সবচেয়ে বেশি লিড পেয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর আবার তৃণমূল কংগ্রেসের ‘ঘরের ছেলে’ বিশ্বনাথ পারিয়ালের স্ত্রী রুমাদেবী। বস্তুত, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডটি বিশ্বনাথ পারিয়ালেরই নির্বাচনী এলাকা দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রেরই অন্তর্গত। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরের খবর, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিজেপি প্রার্থী সবচেয়ে বেশি লিড পাওয়ায় শাসকদলে বিশ্বনাথ পারিয়াল বিরোধী গোষ্ঠীর ক্ষোভ চরমে।
রবিবার সকালে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের করঙ্গোপাড়ায় বাসিন্দাদের নজরে পড়ে, এলাকার ১০টি পানীয় জলের কলের মুখ অর্থাৎ যেখান থেকে জল বেরোয়, সেই অংশটি ভাঙা। কল ভাঙল কারা? স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের বিশ্বনাথ পারিয়াল বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারাই রাতে অন্ধকারে কল ভেঙে দিয়ে গিয়েছে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে রবিবার সকালে করঙ্গোপাড়ায় যান স্থানীয় কাউন্সিলর রুমা পারিয়াল। তাঁর বক্তব্য, এক সিপিএম নেতার ফেসবুকে পোস্ট থেকে ঘটনার কথা জানতে পেরেছেন। ওই নেতা এলাকায় থাকেন না। তাহলে তিনি জানলেন কী করে যে, করঙ্গোপাড়ায় কল ভাঙা হয়েছে? অর্থাৎ এই ঘটনায় সিপিএমের দিকেই অভিযোগ তুলেছেন কাউন্সিলর। কাউন্সিলের সাফ কথা, ‘মানুষ চেয়েছে, তাই বিজেপি ভোট পেয়েছে।’ সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকারের পালটা বক্তব্য, ‘আমি তো বলিনি, কে কল ভেঙেছে। আগ বাড়িয়ে উনিই বুঝিয়ে দিচ্ছেন, ঠাকুর ঘরে কে?’ দুর্গাপুরের করঙ্গোপাড়ায় কলগুলি দ্রুত মেরামত করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুরনিগমের ৪ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়।
ছবি: উদয়ন গুহরায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.