ছবি: প্রতীকী
অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: শুটআউট (Shootout) অ্যাট খড়গপুর। অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের মুহুর্মুহু গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে গেলেন তৃণমূল (TMC) কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে খড়গপুর পুরসভার ওল্ড সেটেলমেন্ট এলাকায় মাতা মন্দিরের কাছে। এই হত্যকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। আর তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে মৃতের ঘনিষ্ঠদের। খড়গপুর এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে সরব হয়েছে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব।
জানা গিয়েছে, মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম ভেঙ্কট ওরফে প্রসাদ রাও। বয়স ৪০ বছর। তিনি এলাকার তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। তাঁর বাড়ি খড়গপুরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ওল্ড সেটেলমেন্ট এলাকার মাতা মন্দিরের বিপরীতে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, এইদিন রাত দশটা নাগাদ এই যুবক মাতা মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিলেন। সেসময় ফোন আসায় তিনি আলাদা করে কথা বলার জন্য মাতা মন্দিরের পিছনের মাঠে চলে যান। সেখানেই স্কুটিতে তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি এসে তাঁর সঙ্গে কথা বলার পর আচমকাই প্রসাদকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালাতে থাকে। কার্যত পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে গুলি চালানোর পরই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়।
সঙ্গে সঙ্গে প্রসাদকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় খড়গপুরের রেল হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এক চিকিৎসক জানান, প্রসাদের শরীরে ১০ টি বুলেটের ক্ষত পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে পৌঁছয় খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি ফাঁকা ম্যাগাজিন উদ্ধার হয়েছে। দুষ্কৃতীদের সকলের মুখে মাস্ক থাকায় কাউকে চেনা যায়নি। এখনও কেউ ধরাও পড়েনি।
তবে কী কারণে প্রসাদকে এভাবে গুলিতে খুন করা হল, সেই কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা। জানা গিয়েছে, প্রসাদ জমির দালাল, সুদের ব্যবসাও রয়েছে তাঁর। কয়েকদিন আগে বন্ধুদের নিয়ে ব্যাংকক (Bangkok)বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান ফিরে দু’দিন ভাইজাগে (Vizag)ছিলেন। এরপর সোমবার সকালেই খড়গপুরে ফেরেন। একসময় খড়গপুর এলাকার ‘ত্রাস’ শ্রীনু নাইডুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন প্রসাদ। তবে ২০১৪ সালের পর আর সম্পর্ক ছিল না বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে জনবহুল এলাকাতে এমন এক ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.