(বাঁদিকে) অমৃতা রায় এবং (ডানদিকে) নরেন্দ্র মোদি
সুদীপ রায়চৌধুরী: প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরই কৃষ্ণনগরের রানিমা অমৃতা রায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তৃণমূলের দাবি, ওই ফোনালাপে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়েছে। ঠিক কী কী বিধিভঙ্গ হয়েছে, তা সুস্পষ্টভাবে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই চিঠিটি পাঠানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনে।
তৃণমূলের তরফে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “আমরা জানতে পেরেছি গত ২৭ মার্চ কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ওই কথোপকথন সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিজেপির ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলেও তা পোস্ট করা হয়েছে। কথোপকথনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে।” এর পরই চিঠিতে ইস্যু ১ বলে উল্লেখ করে মোদির ফোনালাপে উল্লেখিত ৩ হাজার কোটি টাকার প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর তরজা। তৃণমূলের দাবি, এই কথোপকথনের মাধ্যমে ভোটারদের প্রলোভিত করার চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
ওই চিঠিতে ইস্যু ২ বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ধর্মীয় উসকানির অভিযোগ তোলা হয়েছে। কৃষ্ণনগরের রানিমার সঙ্গে ফোনালাপে অমৃতা রায়ের পূর্বসূরি রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, “উনি না থাকলে আমরা কেউ হিন্দু থাকতে পারতাম না। আমাদের ভাষা, পোশাক সব বদলে যেত।” তৃণমূলের দাবি, আদর্শ আচরণবিধির তোয়াক্কা না করে কার্যত ধর্মের নামে ভোট (Lok Sabha Election 2024) চাওয়া হয়েছে। তৃণমূলের আর্জি, এই অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে যত দ্রুত সম্ভব উপযুক্ত পদক্ষেপ করুক নির্বাচন কমিশন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.