ধীমান রায় ও বিক্রম রায়: কাটমানি ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ বাড়ছিল। শেষপর্যন্ত শুক্রবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে জমি বন্ধক রেখে লক্ষাধিক টাকা কাটমানি ফেরত দিলেন দুই তৃণমূল নেতা। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জেও সরকারি প্রকল্পে উপভোক্তাদের ৮৪ হাজার টাকা কাটমানি ফেরত দিয়েছেন পুরসভার এক সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার।
মঙ্গলকোটের কৈচর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাজার গ্রামে চারজন তৃণমূল নেতা সরকারি প্রকল্পে কাটমানি নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। জানা গিয়েছে, টাকা আদায়ের জন্য গ্রামে সালিশি সভাও বসিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, সালিশি সভায় মুচলেকা দিয়ে কাটমানি ফেরতের প্রতিশ্রুতি দেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতারা। তবে সময় চেয়েছিলেন তাঁরা।
শুক্রবার সকালে যখন ফের বাজার গ্রামের শিবতলায় সালিশি সভা বসে, তখন জনতার চাপে টাকা নিয়ে হাজির হন দুই তৃণমূল নেতা রাজীব রায় ও অসীম মিত্র। সভায় সকলের সামনে তালিকা মিলিয়ে ২৮ জন গ্রামবাসীকে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা ফিরিয়ে দেন তাঁরা। শাসকদলের নেতা রাজীব রায়ের দাবি, কাটমানি হিসেবে নয়, দল চালানোর জন্য গ্রামবাসীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। এখন গ্রামবাসীরা চাপ দেওয়ায় জমি বন্ধক রেখে টাকা ফিরিয়ে দিলেন।
এদিকে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে পুরসভার সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার বিষ্ণু অধিকারীর বিরুদ্ধে সরকারি আবাসন প্রকল্পে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর স্ত্রী মেখলিগঞ্জ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারপার্সন। গত সপ্তাহে বিজেপির বিক্ষোভের মুখে মুচলেকা দিয়ে টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিষ্ণু। শুক্রবার পুরসভার অফিসেই মেখলিগঞ্জ শহরের দুটি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ৮৪ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন পুরসভার ওই সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার। যদিও তাঁর দাবি, কাটমানি নয়, বাড়ির প্ল্যান অনুমোদনের জন্য পারিশ্রমিক বাবদ আবেদনকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.