দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: “চেকটা দিচ্ছে দিদি৷ তাই সব ভোট দিদিকে দিতে হবে। ভোট না দিলে কেড়ে নেওয়া হবে ভোটার কার্ড।” বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন ভাঙড়ের দু’নম্বর ব্লকের ভোগালি দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মোদাসের হোসেন৷ ভোটের আবহে দলীয় নেতার এই মন্তব্যে অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির৷ ইতিমধ্যেই ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিরোধীরা৷
সোমবার কৃষক বন্ধু প্রকল্পের চেক বিতরণ হয় ভাঙড়ের ভোগালি দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে৷ প্রত্যেকের হাতে চেক তুলে দেন পঞ্চায়েত প্রধান মোদাসের হোসেন৷ সেই অনুষ্ঠানে আগতদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিতে গিয়েই বিতর্কে জড়ালেন ওই জনপ্রতিনিধি৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেকে চেক নিচ্ছেন৷ এটা নেওয়ার সময় মাথায় রাখুন, চেকটা দিচ্ছেন আমাদের দিদি৷ তাই ভোটটা দিদিকে দিতে হবে। সামনে লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচনের দিন আমাদের প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীকে জোড়াফুল চিহ্নে ভোট দিতেই হবে। সেটা না হলে ভোটার কার্ড আমরা কেড়ে নেব। তখন মারা গেলে আর পরিবারের লোক দু’লক্ষ টাকা পাবেন না।’’
পঞ্চায়েত প্রধানের বিতর্কিত এই মন্তব্যে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। ইতিমধ্যেই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন বিরোধীরা৷ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে সিপিএম৷ সিপিএম নেতা তুষার ঘোষ বলেন,‘‘আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি।’’ বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সুকুমার বরের গলাতেও সমালোচনার সুর স্পষ্ট৷ তিনি বলেন, ‘‘টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তৃণমূল ভোট লুট করতে চাইছে৷ এ বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করব।’’ ভোটের আবহে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের চেক বিলির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা৷ এই ঘটনা লজ্জাজনক বলে তোপ দেগেছেন তিনি৷
কুকথার জন্য ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন শোকজ করেছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুূব্রত মণ্ডলকে৷ সেই তালিকায় নবতম সংযোজন মোদাসের হোসেন৷ একের পর এক তৃণমূল নেতার এহেন বিতর্কিত মন্তব্যে বেজায় অস্বস্তিতে গোটা দল৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.