টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: স্বামী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তাই বিয়ের পর থেকেই অত্যাচারিত হয়ে আসছিলেন তৃণমূল নেত্রী সুজাতা খাঁ মণ্ডল। বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ’র বিরুদ্ধে এবার ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব এনে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সুজাতা। শুক্রবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ মামলার শুনানিতে হাজির থেকে সৌমিত্র খাঁ’র সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নষ্টের পিছনে অন্য আরেক নারীর কথা ফাঁস করেন সুজাতা।
তৃণমূল নেত্রীর দাবি, স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে তৃতীয় নারীর প্রবেশ কোনও স্ত্রীই মেনে নিতে পারবেন না। সুজাতার অভিযোগ, সৌমিত্র তাঁকে বিয়ে করার পর থেকেই অকথ্য অত্যাচার শুরু করেন। শুধু তাই নয়, সৌমিত্র আরেক নারীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলেও অভিযোগ। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে শুধু ফাটল ধরানোই নয়, কার্যত সেটাই বিচ্ছেদের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কে সেই নারী? এই প্রসঙ্গে সুজাতা তৃতীয় ওই মহিলার নাম বলেলনি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ওই মহিলা শিলিগুড়ির বিজেপি জেলা সভাপতির স্ত্রী। তার সঙ্গেই সৌমিত্র বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন।’’
এদিকে, সুজাতার এমন বিস্ফোরক অভিযোগ স্বীকার না করলেও বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ’র মন্তব্য বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ। তাঁর দাবি, ‘‘জীবন থেমে থাকে না। জীবন বয়ে যায় নদীর জলের মতো। কার কী অভিযোগ রয়েছে তা দেখে আমার লাভ নেই। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কে, কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না। বিষ্ণুপুর লোকসভা নিয়ে কাজ করছি, এটাই মোদ্দা কথা।’’
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ জুলাই বড়জোড়ার বাসিন্দা সুজাতা মণ্ডলকে বিয়ে করেন বিষ্ণুপুরের তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে সৌমিত্র বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৯ সালে আদালতের নিষেধাজ্ঞায় বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রচারে নামতে পারেননি। সেই সময় সুজাতা স্বামীর হয়ে প্রচারে নামেন। কিন্তু নির্বাচনে জয়ের পরই ধীরে ধীরে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। ২০২১ সালে দু’জনে আলাদা থাকতে শুরু করেন। এরপর সৌমিত্র-সুজাতার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা গড়ায় আদালতে। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতেই সুজাতা বাঁকুড়া জেলা আদালতে যান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.