ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: এবার প্রাক্তন ছাত্র সুদীপ রাহার নিশানায় বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। লিখলেন, “উনি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নন, জাতীর জন্যও ক্ষতিকারক। উনি এমন রত্ন যাকে মিউজিয়ামে রাখা উচিত।” কটাক্ষ করে তৃণমূলের ছাত্র নেতা আরও বললেন যে, বিজেপির থেকে লোকসভায় টিকিট পাওয়ার চেষ্টা করছেন উপাচার্য।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। একাধিক ইস্যুতে বারবার রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িতেছেন তিনি। পালটা তাঁকে বিজেপির লোক বলে তোপ দাগা হয়েছে। এবার বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে খোলা চিঠি লিখলেন প্রাক্তন ছাত্র তথা যুব তৃণমূল নেতা সুদীপ রাহা। সম্প্রতি নামফলক নিয়ে ফের উপাচার্যের সঙ্গে অশান্তিতে জড়িয়েছে রাজ্য। পালটা মুখ্যমন্ত্রীকে চারপাতার চিঠি লিখেছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। আত্মপক্ষ সমর্থনে নামফলক বিতর্কে জল ঢালতে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। উপাচার্যের (VC) লিখিত বিবৃতিতে নাম না করে তৃণমূল নেতাদের আক্রমণ করা হয়েছে। তাতে যেমন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) কথা উল্লেখ রয়েছে, তেমনই সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি আলোচিত মহুয়া মৈত্রও উঠে এসেছেন তাঁর আক্রমণের তিরে। তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তাঁদের গ্রেপ্তারি, জেলযাত্রা, এমনকী ভিন রাজ্যের কারাগারে বন্দি ‘মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদধন্য’ নেতার কথাও বলেছেন উপাচার্য।
এদিনের খোলা চিঠিতে সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরলেন সুদীপ রাহা। লিখলেন, উপাচার্যের চিঠিতেই স্পষ্ট যে, হয় তিনি উপার্চার্য পদের মেয়াদ বৃদ্ধি চাইছেন। অথবা ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটে বিজেপির টিকিট চাইছেন। এছাড়াও একাধিক ইস্যু তুলে উপাচার্যকে আক্রমণ করেন তিনি। এর পর বিদ্যুৎ চক্রবর্তীতে উদ্দেশ করে বলেন, “মনে রাখবেন আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বীরভূমের কর সংগ্রাহক নন। তাই সেই রকম আচরণ করবেন।” ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষকের মতো আচরণের পরামর্শ দেন, বসের মতো নয়। এখানেই শেষ নয়। সুদীপ এদিনের চিঠিতে মনে করিয়ে দিয়েছেন, গুরুদেবের বিশ্বভারতী ছাত্রদের জন্য। উপাচার্যকে তাঁর পরামর্শ সব পদ থেকে যেন ইস্তফা দেন তিনি। চিঠির শেষে বাংলা থেকে দূরে থাকার কথাও লিখেছেন ছাত্র নেতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.