রাজা দাস, বালুরঘাট: জেলা পরিষদে মেন্টরের দায়িত্ব পেতেই গাড়িতে হুটার ও নীলবাতি লাগিয়ে বিতর্কে তৃণমূল নেতা শুভাশিষ পাল। এই ছবিই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। নিয়ম বহির্ভূতভাবে বাড়তি সুবিধা নেওয়া হচ্ছে বলেই প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন নেটিজেনরা। মেন্টরের গাড়িতে আদৌ নীলবাতি ও হুটার লাগানো যায় কিনা তা নিয়ে চর্চা চলছে দলের অন্দরে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদে ১৮ জন সদস্য নিয়ে বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল। প্রাক্তন তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রর হাত ধরে গত ২৪ জুন দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের ১০জন তৃণমূল সদস্য। ১১ জুন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের আনুষ্ঠানিক দখল নেয় বিজেপি। ১৩ জুলাই ফের তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপিতে যোগ দেওয়া তিনজন জেলা পরিষদের সদস্য। পরে আরও একজন তৃণমূলে ফিরে আসেন। এরপর অবশ্য তৃণমূলের হাতে মোট ১২ জন সদস্য ছিল। তবে সভাধিপতি-সহ মোট ৬ সদস্য বিজেপিতে রয়ে গেছেন। ফলে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও বোর্ড দখল করতে পারেনি।
তার জেরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদে একপ্রকার অচলাবস্থা জারি রয়েছে। থমকে রয়েছে নানা ধরনের কাজ। থমকে থাকা জেলা পরিষদের কাজগুলিকে ত্বরান্বিত করতে মাসখানেক আগে রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে মেন্টর হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় তৃণমূল জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষের ঘনিষ্ঠ শুভাশিষ পালকে। প্রাক্তন জেলা তৃণমূল সভাপতি বিপ্লব মিত্রের সঙ্গে দূরত্বের কারণে হরিরামপুরের এই নেতাকে এক সময় ব্রাত্য হতে হয়েছিল। অর্পিতা ঘোষ তৃণমূল জেলা সভাপতি হতেই এই নেতা ফের সক্রিয় হন। তাঁর জন্য বরাদ্দ হওয়া গাড়িতে নীল বাতি ও হুটার লাগানোকে ঘিরেই বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মেন্টরের গাড়ির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করে প্রতিবাদ করেন অনেকেই। আইনত তাঁর গাড়িতে নীল বাতি ও হুটার থাকার কথা নয় বলেই দাবি তাঁদের।
বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার বলেন, “জেলা কিংবা রাজ্যের নেতা তৃণমূলের কেউই আইন মানেন না। সেক্ষেত্রে এটাই স্বাভাবিক।” কিছুদিন পর সাধারণ মানুষই শুভাশিষ পালের গাড়ির নীলবাতি ও হুটার খুলে নেবেন কটাক্ষ বিজেপি জেলা সভাপতির। তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের মেন্টর শুভাশিষ পালকে বারবার ফোন করা হলেও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.