কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: ভোটের আগে ‘ঘর ওয়াপসি’। তৃণমূল (TMC) ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরলেন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন। শুক্রবার বহরমপুর টেক্সটাইল মোড়ের এক সভায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) হাত ধরে পুরনো দলে ফিরলেন তিনি। মোশারফের সঙ্গে জেলা পরিষদের আরও বেশ কয়েকজন সদস্য এদিন কংগ্রেস শিবিরের ‘হাত’ শক্ত করলেন। মোশারফের দাবি, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জেলা পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য কংগ্রেসে যোগ দেবেন। ফলে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ চলে আসবে কংগ্রেসের দখলে।
মুর্শিদাবাদে অধীর চৌধুরীর হাত ধরে মোশারফ হোসেনের রাজনীতিতে প্রবেশ। দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেস (Congress) ঘরানার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে মোশারফ যোগ দেন ঘাসফুল শিবিরে। গত পঞ্চায়েত ভোটে নির্বাচিত হয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতির পদে বসেন মোশারফ। সম্প্রতি তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় খানিকটা দোলাচলে ছিল। একদিকে, একদা রাজনৈতিক গুরু শুভেন্দুর বিজেপিতে চলে যাওয়া, অন্যদিকে, নিজের দলের কাজে ক্রমশ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় তৃণমূলের তরফেও কোণঠাসা হয়ে পড়ছিলেন। দিন তিনেক আগে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। যদিও মোশারফ তা মানতে চাননি।
তৃণমূল থেকে মোশারফ বহিষ্কৃত হলেও জেলা পরিষদের সভাধিপতির পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার কোনও আইন নেই। পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী, আড়াই বছরের মধ্যে জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে পদ থেকে অপসারিত করা যায় না। আগামী এপ্রিলে মোশারফের এই মেয়াদ পূর্ণ হবে। তখন তাঁকে জেলা পরিষদের পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে। কিন্তু তার আগেই পুরনো দলে ফিরে নিরাপদ রাজনৈতিক আশ্রয় খুঁজে নিলেন মোশারফ। শুক্রবার অধীর চৌধুরীর হাত থেকে পতাকা তুলে নিয়ে যোগ দিলেন কংগ্রেসে। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের ভিত আরও খানিকটা শক্ত হলে বলে আশাবাদী প্রদেশ কংগ্রেস। তবে কি মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিক হাওয়া অন্য পথে ঘুরবে? উত্তর দেবে সময়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.