সৌরভ মাজি, বর্ধমান: করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ রুখতে লকডাউন জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরনোর পরামর্শ দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। বারবার তাঁরা বলছেন দূরত্ববিধি বজায় রাখার কথা। তবে তা সত্ত্বেও বহু মানুষকে ডেকে ভিড় জমিয়ে ত্রাণ বিলি করলেন তৃণমূল নেতা। শুধু তাই নয়। বিতর্কের মুখে তাঁর জবাব শুনলে চোখ কপালে উঠবে সকলের। তাঁর দাবি, মানুষের সংস্পর্শে এসেই নাকি করোনা চলে গিয়েছে। সকলে ঘা ঘেঁষাঘেষি করে থাকলেই করোনামুক্তি হবে বলেও মনে করেন ওই তৃণমূল নেতা। বর্ধমানের পুর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা শিবশংকর ঘোষের দাবি নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে জোর আলোচনা।
রবিবার বর্ধমান পুর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের লোকো বাজার এলাকায় ত্রাণ বিলি করে তৃণমূল। অন্তত পক্ষে কয়েকশো মানুষ ওই ত্রাণ নিতে জড়ো হন। অনেকেরই দাবি, ত্রাণ বিলির সময় ন্যূনতম দূরত্ববিধি মানা হয়নি। এভাবে ত্রাণ বিলি করলে যেকোনও মুহূর্তে ভাইরাস সংক্রমণ যে হতেই পারে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বহু মানুষকে জড়ো করে ত্রাণ বিলির ঘটনাকে হাতিয়ার করে সমালোচনা শুরু করেন বিরোধীরা। কীভাবে তৃণমূল নেতারা নিয়ম ভেঙে একাজ করতে পারে, উঠতে শুরু করে সেই প্রশ্ন।
বিতর্কের মাঝে অবাক করা দাবি করে বসেন বর্ধমান পুর এলাকায় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা শিবশংকর ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘মানুষের উৎসাহের কাছে করোনা পরাজিত। মানুষের সংস্পর্শে এলে করোনা হয়। কিন্তু সংস্পর্শে এসে দেখা যাচ্ছে করোনা পালিয়ে গিয়েছে। করোনা যাতে ফেরত না আসে তার জন্যই সাধারণ মানুষ গা ঘেঁষাঘেঁষি করে আছেন।’’বারবারই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সংক্রমণ এড়াতে চাইলে মানতে হবে দূরত্ববিধি। তা সত্ত্বেও কীভাবে একজন তৃণমূল নেতা এমন মন্তব্য করতে পারেন সেই প্রশ্নই তুলছেন অনেকে।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.