স্টাফ রিপোর্টার: একেই বোধহয় বলে কপালের ফের! ভোটের লড়াইয়ে বিরোধীদের মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার আনন্দ উপভোগ করার সুযোগই পেলেন না বিজয়ী বিধায়ক৷ তার আগেই হাতির পালের তাড়া খেয়ে গ্রামছাড়া হতে হল গোপীবল্লভপুরের নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতোকে৷ ভিন গ্রামে রাত কাটিয়ে অবশেষে বিজয়ী বিধায়ক গ্রামে ফিরলেন পরদিন৷
বৃহস্পতিবার জয়ের পরেই চূড়ামণি মাহাতোকে নিয়ে ব্যান্ডপার্টি বাজিয়ে এলাকার গ্রামে গ্রামে মিছিল করে তৃণমূল কর্মীরা৷ কয়েকটি গাড়ি, পিকআপভ্যান এবং বাইক নিয়ে গোপীবল্লভপুর বিধানসভার গড়শালবনি, গাডরো, পানিয়াডাঙা, বামুনমারা, বেলতলা, লাউডিয়াদম, গ্রাম ঘুরে সন্ধ্যা নাগাদ আমলাচটি গ্রামে পৌঁছয় সেই মিছিল৷ বাড়িতে ঢুকে স্ত্রী ছায়াদেবীর হাত থেকে মিষ্টি খাওয়ার পালা শেষ হতে না হতেই বিপত্তি৷ বলদডুবার দিক থেকে ঢুকে পড়া দলমার ৩০টি হাতির পালের আচমকা হানায় নিমেষে এলাকা তোলপাড়৷
হাতি দেখে আতঙ্কে দলীয় কর্মীরা ছোটাছুটি শুরু করে দেন৷ চূড়ামণিবাবু তখনই দলীয় কর্মীদের নিয়ে গ্রাম ছাড়েন৷ আরও কয়েকটি গ্রামে মিছিল করার কথা ছিল৷ সেগুলি বাতিল হয়ে যায়৷ লোধাশুলিতে দলীয় কাজের জন্য তাঁর একটি ঘর আছে৷ বৃহস্পতিবার সেখানেই রাত কাটান তিনি৷ তিনি বলেন, “গ্রামের লাগোয়া জঙ্গলে এক পাল হাতি আসতে দেখে সকলেই সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন৷ ওখানে বেশিক্ষণ থাকলে অঘটন ঘটার আশঙ্কা ছিল৷ তাই কর্মীদের নিয়ে ফিরে আসি৷” চূড়ামণিবাবুর স্ত্রী বলেন, “দলের কাজের জন্য বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকেন৷ ভেবেছিলাম জেতার দিনে বাড়িতে থাকবেন৷ কিন্তু হাতির হানায় তাও হল না৷” বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে খড়গপুরের কলাইকুণ্ডা রেঞ্জের জটিয়ার জঙ্গলে হাজির হয় দলমা পালের প্রায় ৩০টি হাতি৷ বুধবার রাতে হাতির দলটি ঝাড়গ্রাম বনবিভাগের মানিকপাড়া রেঞ্জের বালিয়া-গোলবাঁধির জঙ্গলে চলে আসে৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ হাতির দল বালিয়া-গোলবাঁধির জঙ্গল থেকে বের হয়ে বামুনমারা এলাকায় আসে৷ এরপর বলদডুবা গ্রামের লাগোয়া একটি পুকুরে নেমে পড়ে তারা৷ সেই হাতির পালের ফাঁদে পড়েই সদলে চরম নাকাল হন চূড়ামণিবাবু৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.