জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: একাধিক ইস্যুতে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেই চলেছেন দিলীপ ঘোষ ও সায়ন্তন বসু। তাদের কুমন্তব্য নিয়ে বরাবরই সরগরম রাজনৈতিক মহল। এবার তাঁদের পালটা খোঁচা দিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriyo Mullick)। নাম না করে তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতার অভাব রয়েছে বলেই খোঁচা তৃণমূল নেতার।
শনিবারই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেছেন, “বদল চাই। বদলাও চাই।” দিলীপকে ছাপিয়ে গিয়ে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu) থানা জ্বালিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। দাঁতনে অবৈধ জমায়েতের জন্য ইতিমধ্যে কোতয়ালি থানায় দুই বিজেপি নেতা-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে। এদিকে রবিবার এই প্রসঙ্গে নাম না করে দিলীপ ঘোষ ও সায়ন্তনকেই পালটা দেন জ্যোতিপ্রিয়। তিনি বলেন, “ওদের শিক্ষাগত যোগ্যতার অভাব আছে। ওদের সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলব না। শুধু এটুকুই বলব, বাংলার সংস্কৃতিতে এসব চলবে না। কোনও দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ এমন কথা বলতে পারেন না। ওদের দিল্লির এইমস হাসপাতালে চিকিৎসা করানো দরকার।”
রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙায় তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচি ছিল। তাতে এদিন গোবরডাঙা, গাইঘাটা, ঠাকুরনগর, চাঁদপাড়া ও বনগাঁ থেকে বেশ কিছু মানুষ তৃণমূলে যোগদান করেন। এদিনের কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক সুরজিৎ বিশ্বাস, গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস-সহ অন্যান্য নেতারা। দলবদলকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “বিজেপির কয়েকজন নেতা-সহ মোট সাড়ে তিনশো কর্মী-সমর্থক আমাদের দলে যোগদান করেছেন। আগামী ৩১ ডিসম্বরের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বিজেপির দখলে থাকা সমস্ত পঞ্চায়েত তৃণমূল হয়ে যাবে। আমরা কাউকে জোর করে তৃণমূলে নেব না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উন্নয়ন যজ্ঞে শামিল হতেই তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করবেন।”
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.