সৌরভ মাজি, বর্ধমান: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পাশে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। পরীক্ষার্থীদের পাশে থেকে তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে জনসংযোগ বজায় রাখার ও নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার চেষ্টা করছেন কর্মীরা। এই কর্মযজ্ঞে সামিল হয়েছেন জেলার মন্ত্রী থেকে সভাধিপতি, সহকারী সভাধিপতি, বিধায়ক থেকে জেলা পরিষদ সদস্য ও তৃণমূলের সব জনপ্রতিনিধিরাই।
পুরভোটকে পাখির চোখ করে জনসংযোগে মন দিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। এই যুদ্ধে তারা বিজেপি বা অন্য কোনও দলকে এক চুল জমি ছাড়তেও রাজি নন। তাই মাধ্যমিক হোক বা উচ্চ মাধ্যমিক সব জায়গাতেই তৃণমূল কর্মীরা হাজির হচ্ছেন। পরীক্ষার্থীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে সখ্যতা বৃদ্ধির চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন পূর্ব বর্ধমানের নিচু থেকে উচুস্তরের সকল কর্মীরাই। পরীক্ষাকেন্দ্রের অদূরে রীতিমত ক্যাম্প করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। সেখানে অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জল, চা-বিস্কুটেরও বন্দোবস্ত করা হয়েছে তাদের জন্য। আবার ছাত্রছাত্রীদের শুভেচ্ছা জানাতে পেন, মিষ্টির প্যাকেট, ঠান্ডা পানীয় থেকে শুরু করে আরও অনেক উপহারও তুলে দেওয়া হচ্ছে তৃণমূলের তরফে।
পুরভোট ও ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনই যে তাদের লক্ষ্য তা তাদের কর্মসূচিতেই স্পষ্ট হয়। ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশ মেনে জনগনের সঙ্গে সম্পর্ককে ঝালিয়ে নিতে কয়েকমাসে আগে দিদিকে বলো কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল। এখন আবার শুরু হয়েছে বাংলার গর্ব মমতা ও জলযোগে যোগাযোগ কর্মসূচি। দলীয়ভাবে নির্দিষ্ট নেতা বা জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে চলছে এই কর্মসূচি। এরই মাঝে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলিতেও অন্যভাবে জনসংযোগে নেমেছে তৃণমূল। শনিবার উচ্চ মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা ছিল। রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি স্বপন দেবনাথ সমুদ্রগড় উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে গিয়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহায়তা করেছেন। এমনকি তাঁদের কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা তার খোঁজও নেন তিনি। দুপুরের গরমে ঠান্ডা পানীয়র ট্রেট্টা প্যাকেটও তুলে দিয়েছেন অভিভাবক ও পড়ুয়াদের হাতে।
স্বপন দেবনাথ জানান,”আমরা ২৪ ঘণ্টাই মানুষের পাশে থাকি। ছেলেমেয়েরা অনেক দূর থেকে আসে পরীক্ষা দিতে। বাবা-মা, দাদা, কাকা-পিসিরাও আসেন তাদের সঙ্গে। তাই তাঁদের কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না সেটা দেখাও আমাদের কর্তব্য। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় মানুষের পাশে থাকার কথা বলেন। মানুষের জন্যই তো আজ আমরা কেউ বিধায়ক, কেউ মন্ত্রী হয়েছি। তাঁদের পাশে থাকা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।” জেলা পরিষদের সভাধপিত শম্পা ধাড়াও এদিন পরীক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে ও অভিভাবকদের পাশে থাকার বার্তা দিতে বর্ধমান শহরের বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করেন। তবে এইভাবে জনসংযোগ বজায় রেখেই তৃণমূল জনমানসে নিজের আস্থা বাড়িয়ে নিতে পারবে কিনা তা অবশ্য সময়ই বলবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.