Advertisement
Advertisement

Breaking News

তৃণমূল নেতার বাড়ির ভাঙচুর

আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাপ্য অন্যদের পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ, তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর

বসিরহাটের উচিলদহ গ্রাম পঞ্চায়েতে অঞ্চল প্রধানের বাড়ি ভাঙচুর জনতার।

TMC leader in Basirhat accussed for corruption of distributing Amphan fund
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 6, 2020 4:03 pm
  • Updated:June 6, 2020 5:08 pm  

জ্যোতি চক্রবর্তী, বসিরহাট: মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারই সার। আমফান দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিলি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে কাঠগড়ায় শাসকদলেরই জনপ্রতিনিধি। ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ির টাকা অন্যদের পাইয়ে দেওয়ার মতো মারাত্মক অভিযোগে বসিরহাটের আটপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্থানীয়রা। তাঁর বাড়ি ঘিরে চলল ভাঙচুর। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে র‍্যাফ নামাতে হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ।

বসিরহাট মহাকুমার মিনাখাঁ ব্লকের আটপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উচিলদহ গ্রামে আজ দুপুরে আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরের টাকা বণ্টন নিয়ে অশান্তি শুরু হয়। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অখিল মিশ্রের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ তোলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের টাকা অন্যকে পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রথমে তাঁর বাড়ি ঘেরাও করা হয়, তারপর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের টাকা প্রাপকদের তালিকায় যে নাম থাকা দরকার, তা না রেখে, নিজের পছন্দমতো নামের তালিকা তৈরি করেছেন। টাকাও দিয়ে স্বজনপোষণ করছেন বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদেই গ্রামবাসীরা তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির বাড়ি ঘেরাও করে ভাঙচুর চালায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তরপাড়ায় ব্যাংক ডাকাতির কিনারা, পুলিশের জালে মাস্টারমাইন্ড-সহ চার]

ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় হাড়োয়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ও র‍্যাফ। তারাই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। যদিও অঞ্চল সভাপতি অখিল মিশ্রর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। শুধুমাত্র সন্দেহের বশে এই ঘটনা ঘটিয়েছে গ্রামবাসীরা। তাঁদের কাছে উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ নেই বলেও দাবি অঞ্চল সভাপতির। সেইসঙ্গে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরাই ঘর তৈরির টাকা পাবে।

[আরও পড়ুন: ভদ্রেশ্বরের পর ডেবরা, দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ফের পুলিশি বাধার মুখে সায়ন্তন]

আমফানে ত্রাণ বিলি নিয়ে বিরোধীদের তরফে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক করে দিয়েছিলেন, যেন প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত না হন, সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে। দলের কেউ নয়, ত্রাণ বিলি করবেন প্রশাসনিক কর্তারাই – এই নির্দেশও দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও বসিরহাটের উচিলদহ গ্রামের ঘটনায় বোঝা গেল, গন্ডগোল থাকছেই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement