Advertisement
Advertisement
আউশগ্রাম

পরিচারিকার সঙ্গে পরকীয়া, আপত্তিকর অবস্থায় পাকড়াও তৃণমূল নেতা

তৃণমূল নেতা ও আদিবাসী মহিলাকে ধরে বেঁধে রাখেন তাঁর স্বামী৷

TMC leader held over allegedly affair with Tribal Woman
Published by: Tanujit Das
  • Posted:July 12, 2019 11:52 am
  • Updated:July 12, 2019 9:19 pm  

ধীমান রায়, কাটোয়া: বাড়ির আদিবাসী পরিচারিকা সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক৷ আর সেই সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসতেই চরম বিপদে পড়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা৷ স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ওই নেতাকে পাকড়াও করেছেন মহিলার স্বামী৷ বৃহস্পতিবার রাত থেকে স্থানীয় এক স্কুল বাড়িতে দু’জনকে বেঁধে রেখেছেন এলাকাবাসী৷ অভিযুক্তের কাছে চাওয়া হয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ৷ এবং এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বেলাড়ি গ্রাম৷

[ আরও পড়ুন: মৃত হাতিদের মূর্তি ও শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের টাকার দাবিতে বিনপুরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের]

Advertisement

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা জয়দীপ পাল, আউশগ্রামের বিল্লগ্রাম অঞ্চলের তৃণমূলের ফাইভ ম্যান কমিটির সদস্য৷ দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর বাড়িতে কাজ করছেন বেলাড়ি গ্রামের তাঁতপুকুর পাড় এলাকার ওই আদিবাসী মহিলা৷ অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে মহিলার স্বামী কাজে চলে যাওয়ার পর, তাঁর বাড়িতে যান এই তৃণমূল নেতা৷ কিন্তু কিছুক্ষণের মহিলার স্বামী বাড়িতে ফিরে আসেন৷ এবং দু’জনকে আপত্তিকর অবস্থায় ঘরের মধ্যে পাকড়াও করেন তিনি৷ এরপরই এলাকার লোকজনকে ডেকে অভিযুক্ত জয়দীপ পাল ও নিজের স্ত্রীকে স্থানীয় স্কুল বাড়িতে বেঁধে রাখেন তিনি৷ উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়৷ সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালেও এলাকায় একই অবস্থা বজায় রয়েছে৷ বরং দু’জনে দেখতে আশপাশের গ্রাম থেকেও প্রচুর মানুষ সেখানে ভিড় জমিয়েছে৷ ঘটনার পেয়ে এদিনই সেখানে যায় পুলিশ৷ তবে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পুলিশকে ঢুকতে বাধা দেয়৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে এলাকা৷ ওই মহিলার স্বামী এবং বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর দাবি, ১৫ লক্ষ টাকা এবং কিছু জমি লিখে দিলে, তবেই ছাড়া পাবেন অভিযুক্ত নেতা৷ নাহলে তাঁকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে৷

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা হওয়ার পাশাপাশি বড় পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে অভিযুক্ত জয়দীপ পালের৷ রয়েছে অনেক পৈতৃক সম্পত্তিও৷  তার স্ত্রী ও ছেলে থাকে বর্ধমানে৷ ওই গৃহবধূ দীর্ঘদিন ধরেই তার বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করছেন৷ সেই থেকেই দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়৷ মহিলার স্বামী জানিয়েছেন, অনেকদিন আগেই এই সম্পর্কের বিষয়ে তাঁর সন্দেহ হয়েছিল৷ হাতেনাতে দু’জনকে পাকড়াও করতেই বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফিরে আসেন৷ যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জয়দীপ পাল৷ তাঁর দাবি, রাতের অন্ধকারে ওই মহিলাকে নিজের বাড়িতে ছাড়তে এসেছিলেন তিনি৷ তখনই তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে৷ ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁর সম্মানহানি করা হচ্ছে৷

ছবি: জয়ন্ত দাস

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement