Advertisement
Advertisement

Breaking News

আমফান দুর্নীতি

দুর্নীতির শাস্তি নিয়ে একে অপরকে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি রাজীব-অরূপের, সতর্ক করলেন ফিরহাদ

দুর্নীতির অভিযোগে রাজীব ঘনিষ্ঠ তিনজন নেতাকে সাসপেন্ড করেন অরূপ রায়।

TMC Leader Firhad Hakim warns Rajib Banerjee and Arup Roy
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:July 11, 2020 8:00 pm
  • Updated:July 11, 2020 8:00 pm  

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরিজিৎ গুপ্ত: ত্রাণ দুর্নীতিতে হাওড়ার ডোমজুড়, সাঁকরাইলে পঞ্চায়েতের একাধিক সদস্যদের উপর কোপ পড়তেই জেলা সভাপতি মন্ত্রী অরূপ রায়কে নিশানা করে মুখ খোলেন আর এক মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ”চুনো পুঁটিরা ধরা পড়ছে। বাদ যাচ্ছে রাঘব বোয়ালরা।” পালটা অরূপবাবুও বলেন, ”দলের নিয়ম মেনেই সব হচ্ছে। কারও কিছু বলার থাকলে দলের মধ্যে জানাক।” ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে দুই মন্ত্রীকেই সতর্ক করলেন হাওড়ার পর্যবেক্ষক পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বললেন, “এভাবে প্রকাশ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে বলা অন্যায়। প্রত্যেকেই দলের সদস্য। কারও কিছু বলার থাকলে দলের মধ্যে বলুন। তাতে কাজ না হলে দলনেত্রীকে বলুন।”

শুক্রবার আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে রাজীব ঘনিষ্ঠ তিনজন নেতাকে সাসপেন্ড করেন হাওড়ার জেলা সভাপতি। আরও দু’জনকে শোকজ করা হয়। দলীয় সূত্রে খবর, যাঁদের শোকজ করা হয় তাঁরা দু’জনেই আবার অরূপ গোষ্ঠীর লোক। সাসপেন্ড হন সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত ঘোষ, ডোমজুড়ের উত্তর ঝাপড়দা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী সুমন ঘোষাল ও জগৎবল্লভপুর পাতিহাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেচারাম বোস। শোকজ করা হয় বড়গাছিয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শবনম সুলতানা ও জগৎবল্লভপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান শেখ নুর হোসেনকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকায় পাঁচিল মেরামত! কাঠগড়ায় কাকদ্বীপের তৃণমূল বুথ সভাপতি]

এই ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই হাওড়ার ডোমজুড়ের বিধায়ক তথা বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, “হাওড়া শহরে দলের তিন নেতার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। দল এঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিলেও জেলা সভাপতি কিছু করেননি। দলে চুনোপুঁটি ধরা হচ্ছে। রাঘব বোয়ালদের বাদ দেওয়া হচ্ছে।” পরে ফেসবুক লাইভেও সে কথা বলেন। তাঁর আরও অভিযোগ, তিনি হাওড়ায় দলের কো-অর্ডিনেটর হলেও তাঁর কোনও মতামত নেওয়া হয় না। কোনও বৈঠকে ডাকা হয়‌ না। এই অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা অরূপ রায়ের অভিযোগ, “ওঁকে ডাকা হয় না বলে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। সমস্ত তথ্য প্রমাণ আছে।”

অন্যদিকে, দুর্নীতির শাস্তি নিয়ে রাজীবের প্রশ্নের জবাবে অরূপবাবু বলেছেন, “আমি দলের প্রথম দিনের র্কমী। দলের নিয়মশৃঙ্খলা, দলের নীতি আর্দশ মেনে কাজ করি। দল যে ভাবে র্নিদেশ দিয়েছে সেই ভাবে কাজ করেছি। এ সব সংবাদ মাধ্যমের কাছে না বলে দলের একটা সাচ্চা র্কমীর কাজ হচ্ছে দলের অভ্যন্তরীন ব্যাপারগুলো দলকে আগে বলা।” তাঁর কথায়, দল যাদের যাদের বলেছিল তাঁদের শোকজ করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘পঞ্চায়েতে বসে টাকা কামানো চলবে না’, দলীয় কর্মীদের ভর্ৎসনা অনুব্রতর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement