চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে ফেরার পথে মুর্শিদাবাদে খুন হয়ে গেলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে কান্দিতে। কংগ্রেসের দিকে অভিযোগ আঙুল তুলেছেন কান্দির প্রাক্তন বিধায়ক ও তৃণমূল নেতা অপূর্ব সরকার।
কান্দিতে তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। গত পঞ্চায়েত ভোটে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন জাহাঙ্গীর শেখ। থাকতেন গোকর্ণ পঞ্চায়েতের গোসাইডোব গ্রামে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, রোজকার মতোই সোমবার সকালেও কান্দি পঞ্চায়েত সমিতিতে গিয়েছিলেন জাহাঙ্গির শেখ। কান্দি শহরে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতেও যোগ দিয়েছিলেন ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সন্ধেবেলা যখন বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন, তখন মাঝ রাস্তায় জাহাঙ্গীরকে ঘিরে ধরে একদল দুষ্কৃতী। তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়। পিঠ, পেট-সহ শরীরের একাধিক জায়গায় গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় শাসকদলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে নিয়ে যাওয়া হয় বহরমপুরে, মুর্শিদাবাদ জেলা হাসপাতালে। তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচার করে গুলি বেরও করে ফেলেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তাও শেষরক্ষা হয়নি। যখন কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় চলছে, তখনই জাহাঙ্গির শেখ মারা যান বলে জানা গিয়েছে।
কিন্তু ভরসন্ধেবেলা ওই তৃণমূল নেতাকে কারা গুলি করে খুন করল? কান্দির প্রাক্তন বিধায়ক ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অপূর্ব সরকারের বক্তব্য, গত পঞ্চায়েত ভোটে, এমনকী সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটেও কান্দিতে তৃণমূল কংগ্রেসকে লিড দিয়েছিলেন জাহাঙ্গির শেখ। এলাকায় উন্নয়ন আটকাতে পরিকল্পনামাফিক তাঁকে খুন করেছে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। একই অভিযোগ করেছেন মৃতের স্ত্রীও। এদিকে দলের গোষ্ঠীকোন্দলের কারণেই তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির শেখ খুন হয়েছেন বলে পালটা দাবি করেছেন কান্দির কংগ্রেস বিধায়ক সফিউল আলম খান।
গত মাসে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া-হুমাইপুরের মাঝে প্রদীপডাঙায় খুন হন তৃণমূল নেতা সফিউল হাসান। ভরদুপুরে গাড়ি থেকে নামিয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মারা যান তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল কমিটির আহ্বায়ক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.