নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: ‘ওটা রথ না ফূর্তি যান! রথ থেকে ওরা জগন্নাথকে নামিয়ে নিজেরাই কৃষ্ণ সেজে বসে আছে।’ বনগাঁর খেলাঘর মাঠে এক জনসভায় রথযাত্রা নিয়ে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। ব্রিগেড থেকে বিজেপিকে উৎখাত করার ডাক দিলেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতা হাই কোর্টে আজ সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে স্থগিত হয়ে গিয়েছে রথযাত্রা। তার আগে জনসভা থেকে বিজেপিকে রথ নিয়ে আক্রমণ রাজ্যের দুই মন্ত্রীর।
জানুয়ারিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে হচ্ছে ব্রিগেড সমাবেশ। আসতে পারেন দেশের অন্য বিরোধী দলের নেতারাও। সেই মঞ্চ থেকেই বিরোধী জোটের বড় সমীকরণ তৈরি হতে পারে। তবে লোকসভার আগে রাজ্যকে এবার টার্গেট করেছে বিজেপিও। নির্দিষ্ট সূচি অনুযায়ী হয়নি রথযাত্রার কর্মসূচি। বাতিল হয়ে গিয়েছে নরেন্দ্র মোদির জনসভাও। তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহও। ডিভিশন বেঞ্চ বিজেপির রথযাত্রাকে ছাড়পত্র দিলেও সিঙ্গল বেঞ্চে এদিন আটকে যায় রাজ্য বিজেপির কর্মসূচি। কীভাবে রথযাত্রা হবে, তার পরিকল্পনা সাজাতেই এখন ব্যস্ত রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এরই মধ্যে তৃণমূলের ক্রমাগত আক্রমণ বিজেপির কাছে কাটা ঘায়ে নুনের ছিঁটে। এদিন সভায় খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “ওটা রথ না ফূর্তি যান! যেখানে খাওয়া-দাওয়া, মলত্যাগ, ফূর্তির উপকরণ সব থাকবে। রথ থেকে ওরা জগন্নাথকে নামিয়ে নিজেরাই কৃষ্ণ, বলরাম, সুভদ্রা সেজে বসে আছে। কিন্তু জগন্নাথ তো আমাদের বুকে থাকবে।” জনসভা থেকে তিনি মানুষকে সতর্ক করেন, বিজেপির চক্রান্তে যাতে পা না দেয় তাঁরা।
এদিকে পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীও মোদি সরকারের সমালোচনা করেন। পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ানো, রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, জিএসটি, নোটবন্দির মতো সিদ্ধান্তে কীভাবে মানুষ সমস্যায় পড়েছেন, তাও উঠে আসে তাঁর কথায়। বনগাঁ লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ প্রয়াত কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর ও প্রয়াত বিধায়ক ভূপেন শেঠকে নিয়ে সমবেদনা জানান তিনি৷ পাশাপাশি নাম না করে মঞ্জুল ঠাকুরকে ‘গদ্দার’ বা ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। বনগাঁর সভায় এদিন উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, নির্মল ঘোষ, অর্জুন সিং, দীপেন্দু বিশ্বাস, বীণা মণ্ডল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.